আল্লাহ তা’আলা কুরআনে পুরুষদের পর্দার কথা বলেছেন আগে তারপর এসেছে নারীদের কথা। আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ বলেছেন, পুরুষরা যেনো তাদের চোখ নিচু করে চলে আর লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। অর্থাৎ নিজেদের সংযত করে।তার মানে নজরের হেফাজত করে দৃষ্টি অবনত করে চলা। এটাই পুরুষের বড় পর্দা। আর নাভী থেকে টাখনুর উপরে হাটুর নিচে পর্যন্ত ঢাকা থাকতেই হবে এটা মূল সতর। সাথে মূল বডিটাও ঢাকবেন।
প্রিয় ভাই আমার, চোখ আমাদের সকল পরিক্ষার মূল প্রশ্নপত্র। চোখের উত্তরটা ঠিক ঠাক লিখলে ভুরি ভুরি নাম্বার অর্জন করা সম্ভব ইন শা আল্লাহ। তাই একে সংযত করতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মনে রাখবেন ভাই চোখ সঙ্গযত তো মস্তিষ্ক সংযত আর মস্তিষ্ক সংযত তো অন্তর সংযত আর অন্তর সংযত তো লজ্জাস্থান সঙ্গযত ফলে জীবন সংযত ইনশাআল্লাহএকটার সাথের আরেকটার সম্পর্ক বেশ গভীর ভাবুন চিন্তা করুন কতইনা সুন্দর ব্যবস্থা সুসুবহানাল্লহ।
প্রিয় ভাই,
নারী যে অবস্থাতেই থাকুকনা কেন তাদের দিকে তাকানো যাবেনা কারন আপনাকে জান্নাতে যেতে হবে আপনার আল্লাহভীতির উপর নির্ভর করে সেই নারীর কর্ম আপনার ঝুলিতে উঠবেনা। তাই নিজের দিকে আঙুল তুলতে হবে।
ভুলবশত নজর গেলেও বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে সামনে পরে গেলেও নিজেকে সংযত করে চোখ তুলে নিতে হবে,এটাই একবার চোখ পরার বিধান।তখন চোখ অবনত করতে হবে, দৃষ্টিকে স্থানান্তর করতে হবে।কারন এটাই আল্লাহর আদেশ। বিনা তর্কে দ্বীনমেনে নেওয়াই মুমিন বান্দার উত্তম পরিচয়।
ও ভাই, কোন নারীর পাপের বোঝা আপনি বা আমি বইবো কি? অবশ্যই না, আমাদের নিজের কর্মের ফল নিজেদের ভোগ করতে হবে। বিচারের মাঠে কেউ সাথী হবেনা, আপনি বলতে পারবেন না যে মেয়ে খোলা মেলা ছিলো তাই আমি তাকিয়েছি! কেননা সর্বাবস্থায় আপনাকে দৃষ্টি সংযত করতে হবে,এটা আল্লাহর আদেশ, ফরজ বিধান।
প্রিয় ভাই আমাদের এই পরিক্ষায় পাশ করলে হুর ঈন আইন দিবেন আল্লাহ। তাদের বর্ননা কুরআনে সুন্দর করে দেওয়া আছে বিশেষ করে সূরা আর রহমান দেখুন। আমি লিখছিনা কারন আমি চাই আপনি নিজেই আল্লাহর তরফ হতে বরাদ্দকৃত রমনীর বিবরন পড়ে নিবেন। আহা! কতইনা সুন্দর হবে ভাবলেই হারিয়ে যাই অজানা ভাবনায়! হুর নিয়ে ভাবুন নিজেকে সংযত করুন প্রিয় ভাই।
প্রিয় ভাইয়েরা,
এই নন মাহরাম ও বেগানা নারী আপনার আমার জন্যে পরিক্ষার না জানা প্রশ্নের মতো, যদি এড়িয়ে যেতে পারি তবেই আমরা উওর প্রদানে সফল ইনশাআল্লাহ। ভাই আমি ছেলে আমিও জানি নজরের হেফাজতের কষ্টের পরিমান হাতে আগুন নিয়ে চলার চেয়ে ভয়ানক বরং হাতে নিয়ে বসে থাকাও ভালো! বোনেরাও শুনুন, বুঝুন।
আর প্রিয় বোনদের বুঝানো দিনকে দিন কষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আমাদের সাহায্য করুন আপনার পর্দার করার মাধ্যমে। আমাদের দৃষ্টিকে সংযত করতে সাহায্য করুন প্লিজ। আপনাদের সাইকোলজি আর আমাদের সাইকোলজি এক না। আমাদের আপনাদের প্রতি দুর্বল করেই তৈরি করা হয়েছে।
আর প্রিয় ভাইয়েরা,
আমরা যদি না তাকাই,পাত্তা না দেই তবেই হয়তোবা তারাও নিজেদের আবৃত করে নিবেন ইনশাআল্লাহ। কেননা বিপরীত লিঙ্গের ভালোলাগার উপর ভরসা করেই তারা সাজুগুজু করে (ভিন্ন হতেও পারে)। বেগানা মানে পর্দা করেনা এমন নারীদের আমরা এড়িয়ে যাব, দাতে দাত কামড়িয়ে চলব সেই হুরদের জন্য, আগুনের স্পর্শ থেকে বাঁচাতো লাগবে তাইনা? তো ভাই এখানে নফসের সাথে যুদ্ধ করতে থাকাই লাগবে। আর ভাই বড় কথা হচ্ছে আমাদের ভাবতে হবে আল্লাহর শাস্তির কথা, জাহান্নামের কথা আর দুনিয়াবি কষ্ট ও ঝামেলার কথা।
ভাবুন আপনি যেভাবে একটা বেগানা নারীর দিকে তাকাচ্ছেন একই ভাবে যদি অন্য একটা ছেলে আমাদের মা বা বোনের দিকে তাকায় তবে সহ্য করতে পারবেন কি? এইসব মেনে নেওয়া অসম্ভব তাইতো? তাহলে ভাই আমার নিজেকে সংযত করতে হবে।নজরেরে হেফাজত করতে হবে।
কোন নারী কি পরল বা কি করলো তা দেখার বা ভাবার প্রয়োজন নাই। ভাই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করাও আমাদের জন্যে পরিক্ষা। এটাই সিস্টেম। তাই আমরা ছেলেরাও পর্দা অবলম্বন করব আর ভাই মেয়েদের শালীনতা নিয়ে আমাদের মাথা না ঘামালেও চলবে। তাদের জবাব তারা দিবে। ছেলে মেয়ে রেশারেশি বা তর্ক না করে আমরা আমাদের শরঈ পর্দায় মনোযোগী হই। আল্লাহ প্রথমে আমাকে ও সকল ভাইদের কর্মের মাধ্যমে তাকওয়া অবলম্বন করার তাওফিক দান করুক, আমিন।