মুঠোভর্তি স্বাধীনতার নামে আজ দু’হাতে পাপের বেড়ি
কবর ডাকছে হাতছানি দিয়ে, ফিরবার কত দেরী?
হন্যে হয়ে চলছি ছুটে, নিয়ম বুঝি না আমি মাতাল,
ছুটছি ভীষণ, বিক্ষিপ্ত মন খোঁজে শান্তি আকাশ-পাতাল।
শান্তি পড়ে রয় ঘরের তাকে, নামটি তার “আল কুরআন”
এ কিতাব মহাসত্য, হতে পারি না তার প্রতি সন্দিহান।
দিন-মাস-বছর পেরোয় আর আমি খুলে দেখি না আল্লাহর চিঠি
তাঁর দয়াতেই দৈনিক চোখ মেলি আর প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠি
আর ভাবছি বসে কেন শান্তি আমায় ছেড়ে নিয়েছে লম্বা ছুটি?
কীভাবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াই যখন মৃত্যু হবে আসন্ন?
যখনই ভাবি ভালো হয়ে যাব, দুষ্টু মন শুরু করে দেয় প্রশ্ন!
আচ্ছা, এমন কিই বা করেছি পাপ?
মিউজিক, প্রেম আর সাজগোজে বুঁদ – এ আর এমন কি খারাপ?
বড্ড ব্যস্ত আমি! ক্যারিয়ার-পরিবার-আড্ডা নিয়েই থাকি।
সময় নেই উম্মাতের আর্তনাদ শোনার, ভাবনার এখনো অনেক দূর বাকি
আমি তো তাদেরই মস্ত ভক্ত – যাদের হাতে আমার মুসলিম ভাই-বোনের রক্ত!
সিরিয়া, ফিলিস্তিন আর কাশ্মীরের হাহাকার শুনেও কীভাবে আমার অন্তর এত শক্ত?
মুসলিমের রক্ত খুবই সস্তা, বোমা পড়ছে বামে-ডানে
আমি ব্যস্ত হেডফোন কানে, স্মার্টফোন হাতে, এসব কি আর আমায় টানে?
বার বার দুনিয়ার মরীচিকার পিছে ছুটে দুমড়ে মুচড়ে যাই
তাও ভাঙতে পারি না এই চক্র! ইশ তাওবার “ডিলিট” বাটনটা যদি একবার খুঁজে পাই!
অবশেষে রহমানের দয়ায় আলোর থে ফিরে এলাম, হারামকে “না” বলেই দিলাম!
শয়তানকে শাসিয়ে নিলাম; নফসকেও আচ্ছা বকে দিলাম,
“সাবধান! এত লোভ কেন তোর? তুই তো আমারই অংশ।
আল্লাহকে ভুলে করিস না নিজের দুনিয়া, আখিরাত ধ্বংস!
দাড়ি? হিজাব-নিকাব? অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা? দেখলেই সবাই ক্ষুব্ধ
এই নষ্ট সমাজ আর নিজের সাথে কীভাবে জিতবো এই যুদ্ধ?
ইশ যদি মহান আদর্শ প্রাণপ্রিয় নবী(সাঃ) আজ জীবিত থাকতেন!
ছুটে যেতাম তাঁর কাছে, বলতাম আমায় আপনার বন্ধু করে নেন!
ইয়া রসূল! দুনিয়ার বোঝা বইতে আর পারছি না যে, কি হবে আমার আঞ্জাম?
আপনার উম্মত হিসেবে সম্মান চাই, সল্লাল্লাহু ওয়া আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম!
কখনো দু’চোখে দেখিনি আপনায় ইয়া রসূলে কারিম,
পড়েছি আপনার জীবনী, সে কি ঈমান, তাকওয়া, আত্মত্যাগ অসীম!
পাবো তো আপনার সখ্য জান্নাতের ঝর্ণায় আর বাগানে?
আপনার সুন্নাহ আঁকড়ে ধরেছি সেই আশা পূরণের পানে
বড় ভালোবাসি আল্লাহ তোমায়! ভালোবাসি তোমার রসূল (সাঃ)!
এই ভালোবাসায় শুদ্ধতা দিও, গুনাহ মাফ করিও সকল!