অফিস, বাসাবাড়ি, স্কুল, কলেজ, কোচিং, স্বামী-স্ত্রী, বাচ্চাকাচ্চা, ভাই-বোন, সংসার, কিন্তু…কিন্তু কখনো ভেবেছেন তারপর কি হবে? সেদিন কি হবে যেদিন আপনার প্রাণবায়ু বের হয়ে যাবে? যেদিন দীর্ঘদিনের অতি পরিচিত শরীরের খাঁচার বন্ধন থেকে বের হয়ে যাবে আপনার আত্মা। সেদিন আপনার সকল কষ্ট-পরিশ্রম এই নশ্বর দুনিয়াতেই ফেলে রেখে রওয়ানা দেবেন চিরন্তন আখিরাতের দিকে। আর সেই যাত্রার প্রথম ঘাঁটি কবর। তো কবরের তিনটি প্রশ্নের জন্য কি আপনি প্রস্তুত? সেই তিনটি প্রশ্নের জবাব কতটুকু তৈরি করতে পেরেছেন আপনি? আচ্ছা, কবর, কবরের প্রশ্ন, আখিরাত এগুলোকে সত্য বলে বিশ্বাস তো করি আমরা, তাই না? তাই তো? সত্যিই তো?
আখিরাতে বিশ্বাস না করলে মুমিন হওয়া যায় না। আখিরাতে বিশ্বাস আমাদের ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যদিও অতি ব্যস্ত এই দুনিয়ায় আমাদের আখিরাত থেকে ভুলিয়ে রাখার সকল প্রকার ফন্দি আঁটা হয়েছে। চারিদিকে সেই পরিকল্পনা মোতাবেক জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে। সেই ধুন্ধুমারে পড়ে গেলে আখিরাতকে কেমন যেন আগের যুগের কথা মনে হয়। কেননা দুনিয়া তখন একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে যায়। মানুষ বেখেয়াল হয়ে পড়ে আখিরাত থেকে।
কিন্তু না! আখিরাত বাস্তব। অতীব বাস্তব। আখিরাত হবেই, নিশ্চিতভাবেই। আচ্ছা, ফিরে আসি আবার। ফেরেশতারা যখন আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন ‘তোমার রব কে?’ তখন কি আপনি নির্দ্বিধায় বলতে পারবেন- আপনার রব আল্লাহ? মনে রাখবেন, দুনিয়া থেকে যতই মুখস্থ করে যান না কেন, সেই অন্ধকার কবরে কিন্তু সেই মুখস্থবিদ্যা কোনোপ্রকার ফায়দা আপনাকে দেবে না। আপনাকে নিজের আমল দিয়েই সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। দুনিয়া থেকে ঠোটস্থ করে নিলেও আপনার অন্তর যদি সায় না দেয়, তবে সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আপনি দিতে পারবেন না। আপনার অন্তর সায় তখনই দেবে যখন দুনিয়ায় থাকতে আপনার আমল সে রকমই থাকবে যেমনটা হলে আপনি উত্তর দিতে পারবেন।
আপনার আমল যদি দুনিয়াতে এমন হয় যে আপনি আল্লাহকে রব মেনেই দুনিয়ার জীবনকে পরিচালনা করেছেন, তাঁর হুকুম-আহকাম মেনে চলেছেন, তবেই আপনি সেদিন এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন, অন্যথায় নয়। তো সেই কবর, যেই কবরের মধ্যে আসা প্রত্যেককে সে এমন চাপ দেবে যে এক হাড় আরেক হাড়ের মধ্যে ঢুকে যাবে, সেই কবরের প্রথম প্রশ্নের জবাব দিতে আপনি তৈরি আছেন তো?
আপনার দৈনন্দিন আমল কি তা-ই প্রমাণ করে? আপনি তো আপনার পরিবার-পরিজনের জন্য সবকিছু বিলিয়ে দিলেন, সর্বস্বটুকু দিয়ে প্রমাণ করলেন আপনি তাদের ব্যাপারে কনসার্নড, আপনি তাদের কেয়ার করেন। সারাদিন সন্তানদের লালনপালনই প্রমাণ করে আপনি মা হিসেবে কতটা সিনসিয়ার, নিজ দায়িত্ব পালনে একেবারেই পারফেক্ট আপনি।
পড়ালেখার ক্ষেত্রে আপনার মত এমন যত্নবান-মনোযোগী ছাত্র/ছাত্রী দ্বিতীয় আরেকটা পাওয়া মুশকিল অথবা না মুমকিন। কিন্তু আপনাকে দেখে কি মনে হয় যে আপনি আল্লাহকে রব মেনে জীবন পরিচালনার ব্যাপারেও কনসার্নড, সিনসিয়ার, যত্নবান, মনোযোগী?
কাউকে রব মানার মানে হলো রবের সকল আদেশ মেনে চলা ও নিষেধ বর্জন করা। তো আমার আর আপনার রব আল্লাহর আদেশ হলো ঈমান আনা। আর ঈমানের পরে সর্বপ্রথম দায়িত্ব নামাজ আদায় করা। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ই প্রমাণ করে আপনি অন্তরে অন্তরে সব সময়ই আল্লাহকে রব মানছেন।
সেদিন আল্লাহর কাছে আপনার এই কালিমার স্বীকৃতি কোনো কাজেই আসবে না, যদি না আপনার আমল দিয়ে আপনি প্রমাণ না করতে পারেন যে আপনি আল্লাহকেই রব বলে মেনেছেন, মেনে এসেছেন। সেদিন কাজে আসবে কেবল অন্তরের এই ঈমানটুকুই। নামাজই আপনার অন্তরে থাকা ঈমানের বাহ্যিক প্রমাণ। এই নামাজই আপনার ঈমানের দলীল, আপনার ঈমানের হুজ্জত। প্রতিদিন পাঁচ বার নামাজ পড়ার মাধ্যমে আপনি প্রমাণ দিচ্ছেন আপনি কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে তৈরী হচ্ছেন, খুব চেষ্টা করছেন, প্রাণপণ খেটে যাচ্ছেন।
কিন্তু আপনার অফিস, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, কোচিং, বাসা-বাড়িসহ আরো নানান কাজে আপনি ভুলেই যাচ্ছেন আপনার রবের কথা, কবরের প্রশ্নগুলোর কথা। যেদিন কবরে একমুঠো মাটি ফেলে সবাই আপনাকে একা ফেলে চলে আসবে, তবে কি সেদিনের ভয়াবহতার ব্যাপারে আপনি চরম অবহেলা দেখাচ্ছেন? কিন্তু জানেন কি নামাজ যে ঈমান ও কুফরীর মধ্যে একমাত্র বাহ্যিক পার্থক্য?
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো হাদীছে এমনটাই বলেছেন, তিনি বলেন, بين الرجل وبين الشِّرْك والكفر تَرْكُ الصلاة একজন ব্যক্তি এবং কুফর ও শিরকের মাঝে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ পরিত্যাগ করা। (সহীহ মুসলিম)
জাবির ইবনু আব্দুল্লাহকে (রাদিআল্লাহু আনহু) জিজ্ঞেস করা হলো, “রাসুলুল্লাহর যুগে কোন কাজ পরিত্যাগ করাকে আপনারা কুফর বলে মনে করতেন?” তখন তিনি জবাব দিলেন, ‘নামাজ’। (খাল্লাল তাঁর কিতাবুস সুন্নাহতে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন)।
তাছাড়া রাসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীরা নামাজ পরিত্যাগ করা ছাড়া (ইসলামের) অন্য কোনো কাজ পরিত্যাগ করাকে কুফর বলে মনে করতেন না। (তিরমিযী ও মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবাহ)
ভেবে দেখেছেন কতবড় ভয়ানক কথা এটা? কুফর? এর মানে বুঝতে পারছেন তো? কুফর হলো ঈমানের বিপরীত। কুফর মানে আল্লাহর প্রতি ঈমানকে অস্বীকার করা। নামাজ ত্যাগ করা এক ধরণের কুফরী। তাহলে যে ব্যক্তি আজীবনই ঈমানের বদলে কুফরীকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে, ঈমানের বদলে কুফরীর ওপর আমল করেছে, সেই ব্যক্তির জন্য কি আশা করা যায় সে কবরের প্রথম প্রশ্নটির জবাব দিতে পারবে? কিভাবে ভাবা যায় সেই ব্যক্তি আল্লাহকে রব বলে উত্তর দিতে সক্ষম হবে? ভেবে দেখুন!
এরপরে আসুন দ্বিতীয় প্রশ্নটির জবাব নিয়ে ভাবি। কবরে ফেরেশতারা দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি করবেন তা হলো, ‘তোমার দ্বীন কি?’ দ্বীন অর্থ হলো আনুগত্য সহকারে কোনো জীবনব্যবস্থা মেনে নেওয়া। আমাদের দ্বীন হলো ইসলাম। আর ইসলামই আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা। আল্লাহ বলেন, إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الإِسْلامُ নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন হলো ইসলাম । (সূরা আলে ইমরান, ৩:১৯)
আমাদের দ্বীনের পাঁচটি খুঁটি বা বুনিয়াদ আছে। সেই বুনিয়াদের একটি হলো নামাজ, যার স্থান ঠিক ঈমানের পরপরেই। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ ইসলামকে পাঁচটি বুনিয়াদের উপর দাঁড় করানো হয়েছে,
- এক. এই সাক্ষ্য দেয়া যে আল্লাহই একমাত্র ইবাদাতের যোগ্য সত্তা ও মুহাম্মাদ তাঁর প্রেরিত রাসূল;
- দুই. নামাজ কায়েম করা………… (সহীহ মুসলিম)
উমার (রাদিআল্লাহু আনহু) তাঁর জীবনের শেষ মূহুর্তে। ফজরের শেষ রাকাতে তাঁকে এক ফারসী মূর্তিপূজক গোলাম আবু লুলু ছুরিকাঘাত করেছে। তাঁর পেট দু-ভাগ হয়ে গেছে। তিনি নামাজ ছেড়ে দিয়ে ব্যাথায় কাতরে উঠেছেন। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। যখনই তাঁর জ্ঞান ফিরলো তখনই তিনি সর্বপ্রথম নামাযের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন, নামাজ পড়া হয়েছে কি না। তখন কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, এই সময়েও নামাজ? তখন উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, لا حظَّ في الإسلام لمن ترَكَ الصلاة “ইসলামে তার কোনো অংশই নেই, যে নামাজ পরিত্যাগ করে।” (মুসান্নাফ ইবনু আব্দুর রাযযাক ও মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবাহ)
যে দ্বীন, যে ইসলামের ব্যাপারে আমাকে আর আপনাকে প্রশ্ন করা হবে, সেই দ্বীনের অন্যতম বুনিয়াদ হলো নামাজ, কালিমায়ে শাহাদাতের পর যার স্থান, যেই নামাজ ত্যাগ করলে ইসলামের কোনো অংশই আর বাকী থাকে না, সে নামাজকে পরিত্যাগ করার পর আর কোন অংশ নিয়ে কবরে যাবেন আপনি?
নামাজ ত্যাগ করার পর আর কোন বুনিয়াদকে শক্তভাবে ধরলে পরে আপনার দ্বীন ঠিক থাকবে বলতে পারেন? এত গুরুত্বপূর্ণ অংশকে পরিত্যাগ করার পরেও কি করে ভাবা যায় যে কবরে ফেরেশতাদের করা দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব দিতে সক্ষম হবেন আপনি? ভেবে দেখুন!
তৃতীয় প্রশ্নের দিকে আসুন। ফেরেশতারা তিন নাম্বারে প্রশ্ন করবেন ‘তোমার কাছে যাকে পাঠানো হয়েছিলো তাঁর ব্যাপারে তোমার কি মত?’ এখানে রাসুলুল্লাহকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বোঝানো হচ্ছে। ভাবছেন পটাপট বলে দেবেন, তিনি আমার রাসূল ও নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
কিন্তু না! আগেই বলেছি সেদিন মুখস্থবিদ্যা কোনো কাজে আসবে না, যদি না আপনার আমল সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত যথেষ্ট না হয়। সেদিন আপনি ইচ্ছা করলেও তাঁকে নিজের নবী ও রাসূল হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না। কিভাবে জবাব দেবেন আপনি? কতশত দিন আপনি রাসূলের আনা নামাযের মত এতবড় ফরযকে অবহেলা করেছেন? আল্লাহ তা’আলা কোনো ইবাদাতই রাসূলকে তাঁর কাছে ডেকে নিয়ে ফরয করেননি, একমাত্র নামাজ বাদে। যেই নামাযের প্রতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের এত গুরত্বারোপ সেই ইবাদাতের ক্ষেত্রেই আপনার এত এত সংকীর্ণতা? রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্য সবচেয়ে বড় প্রশান্তির বিষয় ছিলো নামাজ। কেননা তিনি বলেছেন, وجُعِلَتْ قُرَّةُ عيني في الصلاة “আমার চোখের প্রশান্তি রাখা হয়েছে নামাযে”। (মুসনাদে ইমাম আহমাদ, সনদ হাসান)
আর আপনি সেই নামাজকেই ক্রমাগত অবহেলা করে চলেছেন? তাহলে কিভাবে সেই রাসূলের রিসালতের সাক্ষ্য দেবেন ভয়াল কবরে, বলতে পারেন? কিভাবে সেদিন আপনি তাঁর শাফায়াতের যোগ্য হবেন, যেদিন সকলেই আপনার আমার পক্ষে শাফায়াত করতে অস্বীকার করবেন? এমনকি নবীরাও শাফায়াত করতে ভয় পাবেন, শঙ্কিত থাকবেন নিজের ব্যাপারে। প্রত্যেকেই নিজের ব্যাপারেই চিন্তা করতে থাকবে, ‘ইয়া নাফসী, ইয়া নাফসী’ ‘আমার কি হবে, আমার কি হবে’ বলতে থাকবে, গোটা মানবজাতি থাকবে ভীষণ উদ্বিগ্ন।
যেদিন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উম্মাতকে চিনে চিনে হাউযে কাউসার থেকে পানি পান করাবেন, সেদিন কি হবে জানেন? জানেন তিনি কীভাবে এত এত মানুষ থেকে তাঁর উম্মাতকে চিনে নেবেন? রাসুলুল্লাহকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ لَمْ يَأْتِ بَعْدُ مِنْ أُمَّتِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ “আপনি কীভাবে আপনার পরে আসা আপনার উম্মাতকে চিনবেন?”
তিনি উত্তরে বলেন, “অনেকগুলো কালো ঘোড়ার মধ্যে যদি কোনো ব্যক্তির একটি কপালচিত্রা ঘোড়া থাকে তবে কি সে উক্ত ঘোড়াকে চিনতে পারবে না?” তাঁরা বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই পারবে।” তখন তিনি বলেন, فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ
“তাঁরা (আমার উম্মাত) ওযুর প্রভাবে জোতির্ময় চেহারা ও হাত-পা নিয়ে উপস্থিত হবে। আর আমি আগেই হাওযে কাওসারের কিনারে উপস্থিত থাকবো।” (সহীহ মুসলিম)
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উম্মাতকে ওযুর চিহ্ন দেখে দেখে চিনে নিবেন, পানি পান করাবেন হাউযে কাওসার থেকে, তো যে কিনা সারাজীবনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ব্যাপারে যত্নবান ছিলো না তাকে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কীভাবে চিনে নেবেন? কিভাবেই-বা পানি পান করাবেন?
দুনিয়ার জীবনে যার নামাযের হিসাব ছিলো না, তার তো ওযুও ছিলো না। যার ওযু নেই তবে ওযুর কারণে তার হাত-পা আলোকময় কীভাবে হবে? আর কীভাবেই বা তাকে নিজের উম্মাত হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গণ্য করবেন? আর কীভাবেইবা আপনি সেই ব্যক্তিকে কবরে নিজের রাসূল হিসেবে চিনে নিবেন? একটুও ভেবে দেখবেন না? একটু ভেবে দেখুন!
আপনি কতদিন, কতবার Muhammad (Sm) is the best human being forever লিখে পোস্ট শেয়ার দিয়েছেন তা সেদিন কোনো কাজেই আসবে না, যদি না আপনি সত্যিই রাসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখানো পথে না চলেন, নামাজ না পড়েন, তাঁকে নিজের জীবনে একমাত্র পথপ্রদর্শক হিসেবে মেনে নিয়ে সেভাবেই জীবন পরিচালনা না করেন।