যদি জিজ্ঞেস করা হয় ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দশটি ঘটনার নাম বলতে হবে তবে ১৪৫৩ সালে হওয়া ইস্তাম্বুল বিজয় তালিকার সেরা পাঁচে থাকবে। আজই সেই মাহাত্ম্যপূর্ণ দিন, আজ ২৯ শে মে।
০১ – বসফরাসের বাতাস ডাকল যাদের
পৃথিবীর রাজধানী, দুই মহাদেশের শহর বলা হয় এই অনিন্দ্যসুন্দর, মুগ্ধকর জায়গাটিকে। বসফরাস প্রণালীর তীর ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা এ শহর অনেকগুলো সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। উসমানী খেলাফত থেকে শুরু করে রোমান সাম্রাজ্য, ল্যাটিন সাম্রাজ্য এবং বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের নিদর্শন এখনো রয়েছে সেখানে সুদৃশ্যভাবে। রাসূল(সাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী দিয়েছিলেন মুসলিমদের হাতে বিজয় হবে এই শহরের, তখন তিনি পেটে পাথর বাধা অবস্থায় ছিলেন, কয়েকদিনের না খাওয়া। তখন ছিল আহযাবের যুদ্ধ।
৬৮০ খ্রীষ্টাব্দ। ইতিহাসবিদ রাশীদুদ্দিন হামদানীর মতে, দেদে কুরকুত নামক প্রথম কোন তুর্ক ব্যক্তি রাসূল(সাঃ) এর সাথে সাক্ষাত করে ইসলাম গ্রহণ করেন। সেখানেই তিনি শুনতে পান ইস্তাম্বুল বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী। তখন তাদেরকে গোকতুর্ক বলা হত। গোক মানে আকাশ। গোকতুর্ক মানে আকশের তুর্ক। তাদের গোত্রগুলোকে একত্রে ওঘুজ বলে ডাকা হত। দেদে কুরকুত ফিরে এসে ওঘুজ বেকে জানিয়েছিলেন এই ভবিষ্যদ্বাণীর কথা। বে মানে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। তুর্কিরা ইস্তাম্বুল বিজয়কে নিজেদের নিয়তি বলেই ধরে নিল, প্রোফেসি। দিরিলিস কিংবা কুরুলুসে যে সাদা দাড়িওয়ালাদের দেখা যায় এরতুগরুল এবং উসমানকে সবসময় সাহায্য করতে তাদের উৎপত্তি হয়েছিল ঐ সময়েই। এই সাদা দাড়িওয়ালাদের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ইস্তাম্বুল বিজয়ের পথকে সহজ করার জন্যই।
সাদা দাড়িওয়ালাদের বিভিন্ন নাম ছিল। আকসাকাল, বুরু বুদুন, ইহতিয়ারলার কিংবা হেয়েত। মেটে হান নামক একজন মহান ব্যক্তি শুরু করেছিলেন এর পথচলার। তুর্কিদের এডভান্স ইন্টিলিজেন্স ইউনিট ছিল এটি। চারস্তরে ভাগ করা হত এখানকার ছেলেদের। বাছাই করা শ্রেষ্ঠ সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হত তাদের অধীনে। তাদেরকে তৈরি করা হত একটি মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য, কনস্টান্টিনোপল বিজয় বা ইস্তাম্বুল কিংবা সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহের ইসলামবুল।
ইস্তাম্বুল বিজয় নিতান্ত সাধারণ কোন শহর বিজয়ের মত ছিলনা। রটনা ছিল নবীর নামে নাম এমন কোন শাসকই একমাত্র পারবে কনস্টান্টিনোপল এর দ্বার মুসলিমদের জন্য উম্মুক্ত করতে। খোলাফায়ে রাশেদার শাসনামল পার হয়ে উমাইয়া শাসনামলে প্রবেশ করলেও নবীর নামে মাত্র একজন শাসককেই পাওয়া গিয়েছিল। সোলায়মান ইবনে আব্দুল মালিক। তিনি চেষ্টার ত্রুটি করেননি।
এরও কিছু আগের কথা। ৬৭২ সাল। আমির মুয়াবিয়া(রাঃ) তখন মুসলিম জাহানের খলিফা। কনস্টান্টিনোপলে অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আবু আইউব আনসারী(রাঃ), রাসূল(সাঃ) এর পতাকাবাহক ছিলেন। তাঁর বয়স ছিল ৯০ বৎসর। তিনিও অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই পূণ্যবান সেনাবাহিনীতে। কনস্টান্টিনোপল বিজয় ছিল কিংবদন্তী। বহুবার রাসূল(সাঃ) এর কথা বলে গিয়েছিলেন।
“নিশ্চিতরূপেই তোমার কুসতুনতুনিয়া (কনস্টান্টিনোপল) জয় করবে। সুতরাং তার শাসক কতই না উত্তম হবে এবং জয়লাভকারী সৈন্যরাও কতই না উত্তম হবে!”
তারা পৌঁছে গিয়েছিলেন কনস্টান্টিনোপল এর থিওডোসিয়ান দেয়ালের একেবারে কাছে। অন্যদিকে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়েসের নেতৃত্বে মুসলিম নৌবাহিনী রোডস দ্বীপও জয় করে ফেলেছিল এবং বসফরাস অবরোধ করেছিল মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে আরেকটি দল। রোমানদের ছিল বিখ্যাত “গ্রিক ফায়ার”। পানি দিয়ে সে আগুন নেভানো যেতনা। গ্রিক ফায়ারের সম্মুখে নিরুপায় ছিল মুসলিম বাহিনী। একদম কাছে গিয়েও সেবারে ফিরে আসত হল মুসলিম বীর সেনানীদের। তবে ইস্তাম্বুলের মাটিতে ঘুমিয়ে রইলেন নবী(সাঃ) এর পতাকাবাহক আবু আইউব আনসারী(রাঃ)।
নাম নবীর নামে হলেও উমাইয়াদের মধ্যে তিনি বিলাসী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। আরো বেশি খারাপ খবর হল সিন্ধু বিজেতা মুহাম্মদ ইবনে কাসিমকে তারই আদেশে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি ছিলেন সোলায়মান ইবনে আব্দুল মালিক। প্রায় চার লাখ সৈন্যের বিশাল বাহিনী তৈরি করে জল এবং স্থল উভয় পথেই কনস্টান্টিনোপলকে আটকে ফেলেছিলেন তিনি। সেটা ছিল তীব্র অবরোধ। অন্তর্দ্বন্দে নাজেহাল থাকা রোমান সাম্রাজ্যও বোধহয় একত্রিত হয়েছিল এই ভীষণ বিপদ মোকাবেলায়। মাসলামা ইবনে আব্দুল মালিকের বাহিনী আবারো নিরুপায় প্রমাণিত হল সেই গ্রিক ফায়ারের সামনে। রাসায়নিক অস্ত্র, পানিতে এটি নেভেনা। রোমান সেনাপতি লিওর বিশ্বাসঘাতকতায় মুসলিমরা তাদের খাদ্য,রসদও হারাল। ক্ষুধার জ্বালায় শেষপর্যন্ত পঁচা কাঠও খেতে হয়েছিল তাদের, এমনকি কাপড়ও। কুটচালের মুখোমুখি হয়ে তীব্রভাবেই বিধ্বস্ত হল মুসলিম বাহিনী সেবার।
এরমধ্যেই সোলায়মান ইবনে আব্দুল মালিক মৃত্যুবরণ করলেন। নতুন খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আজীজ মুসলিম বাহিনীকে ফিরে আসার নির্দেশ দিলেন। পথিমধ্যে ভূমধ্যসাগরের গ্রীষ্মকালীন ঝড়ে পুরো মুসলিম নৌবহরের সলীল সমাধি হল। চারলাখ সৈন্যের বিশাল এক বাহিনী হারানো চাট্টিখানি কথা নয়! বহু সময় গড়িয়ে গেল, কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের কিংবদন্তী জীবন্ত থাকলেও মুসলিমরা সেই প্রাচীন, সুদৃঢ় দেয়ালের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
০২ – উসমানের খোয়াবধারী
উসমানী সুলতানদের যেরকম প্রথম সুলতান উসমানের সেই স্বপ্নের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হত, যে স্বপ্নে উসমানী খেলাফতের শুরু দেখেছিলেন তিনি ঠিক সেভাবেই তাদের মনে সবসময় প্রোজ্জ্বল ছিল কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের কিংবদন্তীর কথাও। সে ধারাবাহিকতায় সুলতান বায়েজীদও এগিয়ে গিয়েছিলেন কনস্টান্টিনোপল এর দেয়ালকে বিধ্বস্ত করতে। তাকে ইয়িলদিরিম বলা হত, বিদ্যুৎ। ক্ষিপ্রগতির আক্রমণের জন্য, তীক্ষ্ণবুদ্ধির জন্য। মধ্যএশিয়া থেকে তারই ডেকে নিয়ে আসা তৈমুরের আক্রমণে ভেস্তে গিয়েছিল ইয়িলদিরিমের স্বপ্ন। সুলতান মুরাদও চেষ্টা করেছিলেন। তারই ছেলে ছিলেন ইস্তাম্বুল বিজেতা মুহাম্মদ আল ফাতিহ। ইউরোপ যাকে মুহাম্মাদ দ্যা কঙ্কোয়েরর নামে ডাকে। এই উপাধি পেয়েছিলেন কনস্টান্টিনোপল বিজয় করেই।
সাতটি ভাষাতে অনর্গল বলতে, লিখতে জানতেন তিনি। তৎকালীন সকল ধর্মশাস্ত্র নিয়ে তার পান্ডিত্য ছিল অসাধারণ। একজন মাস্টারপ্ল্যানার, জিনিয়াস ট্যাকটিশিয়ান, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ব্রিলিয়ান্ট ডিজাইনার। এর সবকিছুতেই অভিহিত করা যায় তাকে। সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ বা দ্যা কঙ্কোয়েরর। ছোট্ট থেকেই তার মনে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের স্বপ্ন গেঁথে দেয়া হয়েছিল। স্বপ্ন যদি সাধ্যের মধ্যে থাকে, তা দেখতে বাধা কোথায়? “নবীর নামের কোন শাসকই পারবে কনস্টান্টিনোপল বিজয় করতে” এই বাণী মুখে মুখে ফিরত। মুহাম্মাদ থেকে উত্তম নাম আর কি হতে পারে?
তিনি কনস্টান্টিনোপল বিজয় করেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন ইসলামবুল, ইসলামের ঘর। খ্রীষ্টান জগতের কাছে পবিত্র ভূমি ছিল এই ইসলামবুল, ইস্তাম্বুল বা কনস্টান্টিনোপল। হাজার বছর ধরে এর দৃঢ় দেয়াল বহিঃআক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিল একে। অবশেষে পতন হয়েছিল। কিন্তু কিভাবে?
কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করেছিলেন সুলতান, অন্য সবার মতই। কঠিন সেই অবরোধ, পাখিরও উড়তে অনুমতি নিতে হত। কিন্তু তার কাছে এবার ভিন্ন কিছু ছিল। ৬০ ফুট পুরো এই দেয়ালকে ভাঙ্গার জন্য হয়ত ১৯ টন ওজনের ব্যাসিলিকা যথেষ্ট ছিলনা তবে ভয়ংকর ছিল। ব্যাসিলিকা হচ্ছে কামান। একেকটি গোলার ওজন ছিল ছয়শ পাউন্ড এবং ব্যারেল ছিল ১৯ ফুট লম্বা। এক মাইল দূর থেকে আঘাত হেনে দেয়ালে ৬ ফুট পর্যন্ত ভেদ করতে পারত এটি। যথেষ্ট ভয়ানক বটে! পরবর্তী দুশ বছরেও এরূপ কোন অস্ত্র ইউরোপ দেখেনি!
উসমানীদের নৌবাহিনী ছিল আরেকটি চমক।কমান্ডার যদি বলেন আগুনে ঝাপ দিতে তবে তৎক্ষণাৎ সেটাই করতে হবে। এখানে না মানে না নয়, না মানে মৃত্যু। পাহাড়ী রাস্তায় জাহাজও চালাতে পারেন কমান্ডার যদি তিনি মুহাম্মাদ আল ফাতিহ হন! গোল্ডেন হর্ণ দখলের জন্য এরকম পাগলাটে পরিকল্পনাই ছিল সুলতানের মাথাতে। পাহাড়ী রাস্তায় রাতের অন্ধকারে জাহাজ চালিয়ে গোল্ডেন হর্ণ কব্জা করে নিলেন তিনি।
গ্রিক ফায়ার বোধহয় আবারো বাধা হতে চেয়েছিল। ব্যাসিলিকার সাহায্যে দেয়ালে গর্ত তৈরি করতে পারলেও প্রবেশ করলেই গ্রিক ফায়ারের ঝলকানিতে মৃত্যু। সুড়ঙ্গপথও ধ্বংস হয়েছিল গ্রিক ফায়ার দিয়েই। প্রতিবারের মত এবারও তবে গ্রিক ফায়ারই আগুনে পানি ঢেলে দেবে?
৮০০ বছর আগের কথা। আবু আইউব আনসারী(রাঃ) কে কবর দিয়ে গিয়েছিল এমনই এক মুসলিম বাহিনী এই অপরাজেয় দেয়ালের পাশেই। সুলতানের উস্তাদ আক শামসউদ্দিন রক্তলাল চোখে ঘর্মাক্ত অবস্থায় তাকে এসে জানালেন এখানেই কোথাও রাসূল(সাঃ) এর পতাকাবাহকের কবর রয়েছে। সুলতান খুঁজে পেলেন এবং খুড়ে কাফন খুলে দেখলেন তাঁর পবিত্র হাতে এক টুকরো কাগজ বাধা। তাতে লেখা, “তোমরা যদি কনস্টান্টিনোপল জয় করতে পারো, তাহলে শহরের একটু মাটি আমার হাতে দিও।”
কাঁদতে কাঁদতে তাবুতে ফিরেছিলেন সুলতান। কথার আঘাত সবচেয়ে প্রচন্ড হয়। মনোবল ফিরে পাওয়া সুলতানের কথার তেজের স্রোত প্রবাহিত হল সৈন্যদের কান থেকে বাহু সহ সর্বত্রই। নতুন প্রেরণায় উজ্জীবিত হল মুসলিম সেনাদল। কনস্টান্টিনোপলে প্রথম যে প্রবেশ করবে সে জান্নাতে যাবে। একথা সবাই জানত। পরেরদিন আল্লাহর করুণায় দুর্ভেদ্য দেয়ালের একই জায়গায় কয়েকবার আঘাত হানল দানবীয় ব্যাসিলিকা। ধনুক থেকে ছোটা তীরের মত একে একে দেয়ালের অভ্যন্তরের প্রবেশ করতে লাগল মুসলিম বাহিনী। এরই মধ্যে আরো কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা গেল। রণসঙ্গীতের ঝংকারে, তীব্র হুংকারে মুসলিম বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ল অবশিষ্টাংশের উপর। পতন হল হাজার বছরের অপরাজিত, দুর্ভেদ্য দেয়ালের।
০৩ – ফাতিহের এলান
কনস্টান্টিনোপল এর পতন হল কিন্তু বিজয় হল ইসলামী সভ্যতার। কারো কোন ক্ষতি করা হয়নি, কোন মানুষকে দাস কিংবা নির্বিচারে হত্যাও করা হয়নি। ক্ষতি করা হয়নি কোন ঐতিহাসিক স্থাপনার। হাজিয়া সোফিয়া ছাড়া আর কোন চার্চকে মসজিদেও রূপান্তর করা হয়নি। হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছিল খ্রীষ্টবাদের বিপক্ষে ইসলামের বিজয়ের প্রতীক হিসেবে। কারো ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়নি। শহরের প্রধান পুরোহিতকে দেয়া হয়েছিল একজন উসমানী পাশার সমমানের মর্যাদা। পাশা মানে মন্ত্রী সমমানের। তাকে দেয়া হয়েছিল ধর্মীয় স্বাধীনতার লিখিত সনদ। সুলতান মুহাম্মাদ মুসলিমদের থেকে উপাধি পেলেন আল ফাতিহ এবং ইউরোপ তাকে বর্ণনা করল দ্যা কঙ্কোয়েরর হিসেবে। সুলতান হয়ে উঠলেন দুই মহাদেশ এবং দুই সমুদ্রের বাদশাহ।
এই মহান বিজয়কে বর্ণনা করার জন্য আমার ভাষা যথেষ্ট নয়। আমার পড়া সবচেয়ে সুন্দর, আকর্ষণীয় বর্ণনা রয়েছে “সানজাক-ই উসমান” বইতে। “প্রিন্স মুহাম্মাদ সজল” ভাইয়ের বর্ণনায় থ্রিলারের ভাষায় দারুণ ভাবে উঠে এসেছে বিস্তারিত কাহিনী। আমি শুধু তার সংক্ষিপ্তসার করলাম।
এটি এমন এক বিজয় ছিল যার ভবিষ্যদ্বাণী স্বয়ং রাসূল(সাঃ) করেছিলেন। এ বিজয় উসমানীয়দের জয়যাত্রাকে নিরাপদ করেছিল যা পরবর্তী দশক গুলোতে ইউরোপকে বিধ্বস্ত করেছে। এ বিজয় খ্রীষ্টবাদের বিপক্ষে ইসলামের বিজয় ছিল। এ বিজয় ইতিহাসের বিখ্যাত রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়েছিল। এ বিজয় কনস্টান্টিনোপলকে ইসলামবুলে পরিণত করেছিল, যার অর্থ ইসলামের ঘর। এ বিজয় ৮২১ বছর ধরে চলে আসা কিংবদন্তীকে সত্য করেছিল। এ বিজয় আমাদের গর্বের। এ বিজয় আমাদের সেই ইতিহাসের গল্প স্মরণ করায় যা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছিল ইসলামী সভ্যতা। এ বিজয় নিয়ে গর্ব করতে কখনো কার্পণ্য করার অবকাশ নেই।