বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তানায়ক ও ইসলামি আন্দোলনের বিপ্লবী সিপাহসালার মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী (ابو الاعلی مودودی) (Sayyid Abul A’la Maududi) (র.) ছিলেন ইসলামি জাগরনের অগ্রপথিক। তাঁর সমগ্র জীবন অতিবাহিত হয় একদিকে কঠোর শ্রম, সাধনা, অগাধ জ্ঞানচর্চা ও গবেষণায় এবং অপরদিকে বিশ্বমানবতার কাছে দ্বীন ইসলামকে তার প্রকৃতরূপে উপস্থাপনায় যেমন তাকে উপস্থাপন করেছে কুরআনুল কারীম।
তারপর ইসলামকে যারা বুঝলো এবং সত্য বলে গ্রহণ করল তাঁদের কাছে তাঁর দা’ওয়াত ছিলো ইসলামের ছাঁচে গোটা জীবন গড়ে তোলার, বাতিল ব্যবস্থা ভেঙ্গে চুরমার করে ইসলামী জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দুর্বার সংগ্রাম করার। তার জন্য তাঁকে হাসিমুখে বরণ করতে হয়েছে অজস্র কটূক্তি, অমূলক অভিযোগ, অপবাদ এবং বিশেষ শ্রেণির পক্ষ থেকে ফতোয়ার অবিরল গোলাবর্ষণ । বারবার তাঁকে যেতে হয়েছে কারার অন্তরালে, এমনকি ফাঁসির মঞ্চে ও অন্ধকার সংকীর্ণ কঠুরীতে।
সর্বশেষ নবীর পর আর কোনো নবী আসবেন না বলেই আল্লাহ যুগে যুগে উম্মাতে মুহাম্মদির মধ্যেই এমন ব্যক্তি পয়দা করে এসেছেন যারা শেষ নবীর শিক্ষাকে সঠিকরূপে আবার মানব জাতির সামনে তুলে ধরার মহান দায়িত্ব পালন করেছেন। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা:) ঘোষণা করেছেন:- “প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তা’য়ালা এই উম্মতের জন্য এমন ব্যক্তি পাঠাবেন যিনি উম্মতের দীনকে নতুন করে পূন:জীবত করবেন”। (আবু দাউদ)।
ইকামতে দ্বীন ও ইসলামের পুনরুজ্জীবনে মাওলানা মওদূদী (র:) এর অবদান যে কত বিরাট, সে কথার বলিষ্ঠ ও বাস্তব সাক্ষী তাঁর রচিত তাফসির গ্রন্থ ও বিপুল ইসলামি সাহিত্য। আর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া ইসলামি আন্দোলনের রুপরেখা।
মাওলানার জন্ম ও বংশ পরিচয়:
সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী (র) ১৯০৩ সালে ২৫ শে সেপ্টেম্বর, হিজরি সন ১৩২১ সালের ৩রা রজব ভারতের হায়দারাবাদ রাজ্যের (বর্তমানে অন্ধ্র প্রদেশ) দাক্ষিণাত্যের আওরঙ্গবাদ শহরে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম সাইয়্যেদ আহমেদ হাসান, যিনি পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন। মাওলানার মায়ের নাম রুকাইয়া বেগম। মাওলানা (রহ:) আল হুসাইন ইবনু আলীর (রা) বংশের বিয়াল্লিশতম পুরুষ। পাক- ভারতের সুফি ও দরবেশ হযরত খাজা মুইনুদ্দীন চিশতীর সাথে মওদুদীর (রহ:) খান্দানের সম্পর্ক আছে। হিজরি ৩য় শতাব্দীতে হযরত আলী-ফাতেমীয় বংশের একটি শাখা আফগানিস্তানের হিরাট শহরের সন্নিকটে যে স্থানে বসবাস শুরু করেন, সে স্থানটির পরবর্তিতে নাম হয় “চিশত”। ঐ বংশের খ্যাতিনামা ওয়ালীয়ে বয়ুর্গ শাহ সুফি আবদাল চিশতী (র:) ইমাম হাসানের বংশধর ছিলেন। তিনি ৩৫৫ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন। পরবর্তিতে ঐ একই বংশের খাজা কুতুবুদ্দিন মওদূদী চিশতী (র:) ভারতবর্ষের চিশতীয়া পীরগণের আদিপীর ছিলেন। মওদূদী -খান্দানের উদ্ভব তাঁরই নাম অনুসারে। তিনি ৫৭২ হিজরিতে ইন্তিকাল করেন। আবুল আ’লা চিশতি (র:) এর নাম অনুসারে মাওলানা মওদূদীর পিতা জনৈক বুজুর্গের পরামর্শমতো নাম রাখেন সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী।
মাওলানার বাল্যকাল :
মাওলানা মওদুদী (র:) এর বাবা ছিলেন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন আইনজীবী। তিনি খুব কমই ধর্ম কর্মের প্রতি খেয়াল রাখতেন। কিন্তু যখন জনৈক বুজুর্গ হাসান মওদূদী কে বলেছিলেন, “দেখ, আল্লাহর ফযলে তোমার একটি পুত্রসন্তান হবে। তার নাম রাখবে আবুল আ’লা মওদূদী। কারন এই নামে একজন প্রসিদ্ধ কামেল পীর তোমাদের পূর্বপুরুষ হিসেবে সর্বপ্রথম ভারতে এসেছিলেন”। মাওলানা মওদূদীর জন্মের ৩ বছর পূর্বে বাবা উক্ত বুজুর্গের নসিহত শোনার পর মনের মধ্যে এক বিপ্লবী পরিবর্তন এনেছিল। পরবর্তিতে পুত্রের জন্মের মাত্র এক বছর পর তিনি সংসারত্যাগী হয়ে খোদার প্রেমে পাগল হয়েছিলেন।
বাল্যকাল থেকেই মাওলানা মওদূদী তাই ইসলামি পরিবেশে বড় হতে থাকেন। শিশু মওদূদীর কচি হৃদয়ে ইসলামি ভাবধারাপূর্ণ চিত্র অঙ্কিত হলো। পিতার স্বপ্ন ছিলো মওদূদীকে একজন আলেমে দীন বানাবেন, তাই তিনি অন্যান্য বালকদের মতো তাঁকে হাতছাড়া করেননি। সাধারণের সাথে মেলামেশা ও গল্পগুজবে নৈতিকতা ও ভদ্রতা রক্ষা করে চলবার ব্যাপারে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছিল। পিতা শিশু মওদূদীকে উন্নত চরিত্র গঠনের জন্য বিশেষভাবে চেষ্টা করেছিলেন। দুষ্ট ও অসৎ সংসর্গে মিশে তার চরিত্র যাতে কলুষিত না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতেন। পিতা তার ছেলেকে মাতৃভাষা উর্দু যত্ন করে আয়ত্ত্বে রাখাতেন। পুত্রের ভাষার বিশুদ্ধতা রাখার জন্য বাইরে মিশতে দিতেন না !
মাওলানার শিক্ষাজীবন:
মাওলানা মওদূদীর পিতা সাইয়্যেদ আহমেদ হাসানের ইচ্ছা ছিল তার ছেলেকে বড় আলেমে দীন বানাবেন। তাই তিনি ছোটবেলা থেকেই শিশু পুত্রের শিক্ষক ছিলেন। মাওলানা মাত্র ৩ বছর বয়সেই বর্ণমালা শিখে ফেলেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার জন্য গৃহশিক্ষক ও রাখা হয় তাঁর জন্য। সে সময় মাওলানার পরিবারের মাতৃভাষা ছিল উর্দু। বাবা তার ছেলেকে বিশুদ্ধ মাতৃভাষা শিখতে যথেষ্ট উদ্যোগী ছিলেন। তিনি নিজে ছেলের সামনে বিশুদ্ধ প্রাঞ্জল উর্দু ভাষা বলতেন। যাতে ছেলের ভাষাও বিশুদ্ধ থাকে।
৯ বছর বয়স পর্যন্ত মাওলানা মওদূদীকে বাড়িতেই বিদ্যাচর্চা করানো হয়। সময়ে তিনি আরবি ব্যাকরণ, সাহিত্য এবং ফেকাহ-শাস্ত্রের বিভিন্ন প্রাথমিক পুস্তকাদি শেষ করেন। পরবর্তীতে মওদূদীর ওস্তাদ মৌলভী নাজীমুল্লাহ হুসাইনীর পরামর্শে তাঁকে আওরংগাবাদের ফোরকানিয়া (উচ্চ) মাদ্রাসায় রুশদিয়া মানের শেষ বর্ষ ৮ম শ্রেনীতে সরাসরি ভর্তি করানো হয়। এ সময় তাঁর বয়স ছিল ১১ বছর। ১৯১৬ সালে মাওলানা মাদ্রাসা ফোরকানিয়া থেকে ম্যাট্রিকুলেশান মানের পরীক্ষায় পাশ করেন। এ সময় তাঁর মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ছিলেন মোল্লা দাউদ। তাদের শিক্ষার মাধ্যম ছিলো উর্দু। তবে রসায়ন, পদার্থ, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, গণিত, ইতিহাস, ভুগোল প্রভৃতি বিষয়েও তখন পড়ানো হতো। প্রখ্যাত আলেম আল্লামা শিবলী নোমান পরিচালিত এসব শিক্ষা-ব্যবস্থায় কোরআন-হাদিস, ফেকাহ, আরবি সাহিত্যের ব্যাকরণ-সহ বিজ্ঞানও পড়ানো হতো। তখন ম্যাট্রিককে মৌলভী, ইন্টামেডিয়েটকে মৌলভী আলেম, আর ডিগ্রি কলেজ কে দারুল উলুম বলা হতো। ম্যাট্রিকের পর হায়দারাবাদ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর বাবার অসুস্থতায় তাঁর প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি ঘটে।
মাওলানার কর্মজীবন:
পিতার অসুস্থতার কারণে ১৯১৬ সালে দারুল উলুমের পড়াশুনা বাদ দিয়ে হায়দারাবাদ থেকে অসুস্থ পিতাকে নিয়ে ভূপালে চলে আসেন। পিতার অসচ্ছলতা ও অসুস্থতায় পরিবারের অর্থনৈতিক হাল ধরার জন্য মাওলানা মওদূদী ১৯১৮ সালে “মাসিক মদিনা” পত্রিকায় চাকুরী নেন সম্পাদকীয় স্টাফের একজন সদস্য হিসেবে। তখন তাঁর বড় ভাই সাইয়্যেদ আবুল খায়ের মওদূদী বিজনৌর থেকে প্রকাশিত ‘মাসিক মদিনা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তবে চাকুরীর দুই মাস পরেই সেখান থেকে চলে আসেন দিল্লিতে। পরে ১৯১৮ সালেই জব্বলপুরের জনৈক তাজউদ্দিন নামক ব্যক্তির ‘সাপ্তাহিক তাজ’ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব নেন মাওলানা মওদূদীসহ তার বড় ভাই। কিন্তু কিছুদিন পর পত্রিকাটি অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। মাওলানা দিল্লি ছেড়ে ভূপালে চলে যান। ১৯২০ সালে ‘তাজ পত্রিকা’ আবার চালু হলে মাওলানাকে সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়। তখন তার বয়স মাত্র ১৭ বছর। মওদূদীর নিরলস প্রচেষ্টায় সাপ্তাহিক ‘তাজ’ ‘দৈনিক তাজ’ পরিণত হয়।
কিন্তু ব্রিটিশ-বিরোধী নিবন্ধ প্রকাশ করায় পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মাওলানার বাবা সাইয়্যেদ হাসান ইন্তিকাল করেন। ১৯২০-এর শেষে মাওলানা দিল্লিতে চলে আসেন ১৯২১ সালে পরিচিত হন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মুফতি কিফায়েতউল্লাহ ও মাওলানা আহমেদ সাঈদের সাথে। তখন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ “মুসলিম” পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিলে মাওলানাকে এর সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়। ১৯২৩ সালে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেলে মাওলানা আবার ভূপালে আসেন, ১৯২৫ সালে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ “আল জমিয়ত” নামে একটি পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করলে মাওলানাকে ঐ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯২৬ সালে তিনি ঐ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন যখন স্বামী বিকেকানন্দ নিহত হয়। তখন তার বয়স ছিল ২৬ বছর। তিনি তখন জমিয়তের সদস্য ছিলেন না; তবে যোগ্যতা বলেই সম্পাদক নিযুক্ত হন।
এই পত্রিকার সম্পাদক থাকা কালে ১৯২৬ ও ১৯২৭ সালে ২৪ কিস্তিতে তার জ্ঞানগর্ভ লেখা “আল জিহাদু ফিল ইসলাম” লিখে জিহাদ সম্পর্কে মুসলিমদের ধারণা পরিষ্কার করেন যা হিন্দু নেতাদের ইসলাম সম্পর্কে বিরোধিতার প্রতিবাদের হাতিয়ার ছিল। ১৯২৮ সালে জমিয়তে উলামায় হিন্দ All India National Congress এর রাজনেতিক স্ট্যান্ডের প্রতি সমর্থন জানালে মাওলানা তাদের পত্রিকা “আল জমিয়ত”-এর সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন ইসলামি গবেষকদের গ্রন্থসমূহ অধ্যয়ন করতে থাকেন। ১৯৩২ সালে আবু মুহাম্মদ মুসলিহ নামের এক ব্যক্তি হায়দারাবাদ থেকে “মাসিক তরজুমানুল কুরআন” নামে একটি পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিলে মাওলানাকে সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়। এ সময় তার বয়স ছিল ২৯ বছর। অল্পকালের মধ্যেই তিনি ঐ পত্রিকার মালিকানা নিয়ে নেন। ঐ পত্রিকাটিকে ইসলামি জাগরণের নকিব বলা হয়।
১৯৩৬ সালের পরে মাওলানা ড. আল্লামা ইকবালের পরামর্শে হয়দারাবাদ ছেড়ে পাঞ্জাবে যাবেন বলে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক বিভাগের প্রধান মানাকি আহসান মাওলানাকে ২৮০০ রুপি মাসিক বেতনে ইসলামিয়াতের অধ্যাপক পদে নিযুক্ত করতে প্রস্তাব দেন। মওলানা তা প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৩৯ সালে ৭ই সেপ্টেম্বর মাওলানা লাহোর ইসলামিয়া কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। তবে তিনি বেতন নিতে রাজি হননি । পরে ১৯৪০ সালে চাকুরি ছেড়ে দেন।
মাওলানার চেহারা ও সৌন্দর্য:
তিনি লম্বা ছিলেন না। তেমন খাটোও ছিলেন না। পরিপুষ্ট দেহের অধিকারী ছিলেন। লালচে সাদা রঙের প্রশস্ত চেহারা বড়ই আকর্ষনীয় ছিল। চেয়ে থাকার মতো চেহারা ছিল। দাড়ি সুন্দর ও মানানসই ছিল। তাঁর বড় দুটি চোখ চেহারাকে আরও আকর্ষনীয় করেছিল। তিনি চশমা পড়তেন। মুখের চেহারার সাথে চশমাও জুতসই মানাতো। তাঁর মুখমণ্ডল চাপা ছিলো না। মুখমণ্ডল ভর্তি স্থল মাংস মুখকে সতেজ ও গোলাকৃতি দিয়েছিল। তাঁর চোখের ভ্রু আকর্ষনীয় ছিলো। অধ্যাপক গোলাম আযম বলেন, “তিনি সৈয়দ বংশের লোক ছিলেন। সীরাত বইতে রাসুল (সা:)-এর চেহারা মুবারকের যে বর্ণনা-পেয়েছি তার সাথে যতটুকু মিল মাওলানার চেহারায় পেয়েছি বলে আমার মনে হয়েছে এতটা মিল আর কারো চেহারায় দেখিনি”।
মাওলানা মওদূদীর ব্যক্তিগত অভ্যাস, আচার-আচরণ, বলার ভঙ্গি, চলার ধরন, পোশাক- পরিচ্ছেদ, তাঁর বৈঠকখানার অনাড়ম্বর সাঁজ, তাঁর গোছানো-টেবিল ইত্যাদি কোনোটিই চমৎকার ও সুন্দর বলে স্বীকার না-করে পারা যায় না। মাওলানার পরিণত বয়সে যখন দাড়ি পেকে যায় তখন তিনি সাদাই রেখেছেন। কোনো কালার করেননি। মাওলানার চুল ছিল রাসুল (স:)-এর তিন স্টাইলের একটির মতো পিছনের দিকের চুল কানের লতি পর্যন্ত। মাওলানা পাঞ্জাবি, কোর্তা, কোট-সহ আধুনিক ইসলামিক নেতার মতো জুতসই পোশাক পরিধান করতেন। তাঁর পোশাকে তাঁর সৌন্দর্য ফুটে উঠতো। তিনি বড় খাড়া মখমলের টুপি পরিধান করতেন যা তাঁর মাথার সাথে মানানসই হতো।
মাওলানার পরিবারিক জীবন:
১৯৩৭ সালে মাওলানা ৩৪ বছর বয়সে বিয়ে করেন দিল্লির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। “দারুল ইসলামে” হিজরত করার এক বছর পূর্বে ১৯৩৭ সালের ৫ই মার্চ মাওলানা সাইয়েদ বংশের এক মেয়ে মাহমুদা বেগমকে বিয়ে করেন। মাওলানার স্ত্রী ছিলেন ইংলিশে অত্যন্ত পন্ডিত মহিলা। তিনি ছেলেবেলায় দিল্লির এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশুনা করতেন। তিনি বালিকা-থাকা অবস্থায় বাইসাইকেল চালানো জানতেন। মাওলানার সাথে তাঁর বিয়ে হওয়ার সময় দেনমোহর নিয়ে দরকষাকষি হয়েছিল। মাওলানা অতি উচ্চাকাঙ্খী মোহরানা ধার্য্য না করে বরং তার সাধ্য অনুযায়ী-অল্প টাকা দেনমোহর হিসেবে দিতে চান এবং তা নগদ বুঝিয়ে দিয়ে বিয়ে করে নিয়ে আসেন। মাওলানার চার ছেলে ও তিন মেয়ে।
বিকেলের আসর:
মাওলানার বাড়িতে তাঁর জীবদ্দশায় প্রত্যেকদিন আসর- মাগরিব বিকেলের আসর বসত। তাঁর বাড়ির উঠানে ফুলবাগানে ঘেরা একটি জায়গায় ঘাসের উপর মখমলের চাদর বিছিয়ে এই আসরে-আসা লোকজন বসতেন। এখানেই মাওলানার ইমামতিতে আসর ও মাগরিরের নামাজ হতো। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন আসতেন তাঁকে দেখতে ও প্রশ্ন করে উত্তর নিতে। এ-সময় তাঁরা বিভিন্ন জটিল জটিল প্রশ্ন করতেন আর মাওলানার নির্ভুল ও সহজ-সাবলীল উত্তর শুনে মুগ্ধ হতেন। তাঁদের প্রশ্নগুলো ছিল ইসলাম, বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, সমাজ, সংস্কৃতি, পরিবারিক জীবনাচার, সরকার, সম্পদ ইত্যাদি নিয়ে। একবার উড়োজাহাজ বিষয়ে কথা উঠলে মাওলানা এমনভাবে উড়োজাহাজ সম্পর্কে বলেন যেন তিনি একজন বিমান- প্রকৌশলী তিনি যাবতীয় কলকজ্জা, তার গঠন, যান্ত্রিক ক্রিয়া সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করেন, এতে শ্রোতাগণ মুগ্ধ-মনে শুনতে থাকেন।
একবার ইসরাইলের প্রসঙ্গে কথা উঠলে তখন তাদের আদ্যোপান্ত ইতিহাস, তাদের যুদ্ধকৌশল, তাদের গুপ্তচর বৃত্তি এমনভাবে বর্ণনা করলেন যে, শ্রোতাগণ মনে করলেন যে, তাঁরা কোনো ইসরাইলী পন্ডিতের মুখেই কিছু শুনছেন। মাওলানার “শেষ বিকেলের আসর” বইটি পড়লে এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুজে পাওয়া যায় যে-প্রশ্নগুলো আমাদের মনে প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খায় কিন্তু কেনো লেখকের বই পড়ে উত্তর পাওয়া যায় না। আব্বাস আলী খানের মতে, তিনি এ-যুগের বিশ্বকোষ বা ইনসাইক্লোপিডিয়া ছিলেন।
সালভিত্তিক একনজরে মাওলানার জীবনপঞ্জি:
- ১৯০৩ সালের ২৫ শে সেপ্টেম্বর ভারতের হায়দারাবাদের আওরঙ্গবাদ শহরে জন্ম গ্রহন করেন।
- ১৯০৬-১৯১৩ সাল গৃহে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।
- ১৯১৪ সালে ১১ বছর বয়সে মৌলভী পরীক্ষায় পাশ।
- ১৯১৬ সালে দারুল উলুম হায়দারাবাদে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ভর্তি।
- ১৯১৭ সালে পিতার অসুস্থতায় শিক্ষাজীবন বন্ধ করে ভুপালে অবস্থান।
- ১৯১৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ‘মাসিক মদিনা’ পত্রিকার সম্পাদক।
- ১৯১৮ সালে খিলাফত আন্দোলনে যোগদান।
- ১৯১৯ সালে আঞ্জুমানে ইয়ানতে নযরবন্দানে ইসলাম এর সক্রিয় সদস্য।
- ১৯২০ সালে জব্বলপুরে ‘দৈনিক তাজ’ পত্রিকার সম্পাদনার ভার গ্রহণ।
- ১৯২১ সালে দিল্লি গমন ও ইংরেজি, আরবি, হাদিস, ফেকাহও তাফসীর অধ্যয়ন।
- ১৯২২ সালে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম এর মুসলিম পত্রিকার সম্পাদক।
- ১৯২৩ সালে মুসলিম পত্রিকা বন্ধ হলে ভুপালে গমন ও গভীর অধ্যয়ন শুরু।
- ১৯২৪ সালে “হামদর্দ” ও “আলজমিয়ত” পত্রিকায় সম্পাদনার ভার গ্রহন।
- ১৯২৫ সালে মাওলানা আহমদ সাঈদের ‘আলজমিয়ত’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক।
- ১৯২৭ সালে ২৪ বছর বয়সে “আল জিহাদ ফিল ইসলাম” গ্রন্থ প্রনয়ন।
- ১৯২৮ সালে জমিয়ত কংগ্রেসকে সমর্থন করায় তাঁদের পত্রিকা থেকে ইস্তফা।
- ১৯৩০ সালে হায়দারাবাদে প্রত্যাবর্তন এবং “ইসলাম পরিচিত” গ্রন্থ রচনা।
- ১৯৩১ সালে বই লেখনীতে আত্মনিয়োগ।
- ১৯৩২ সালে হায়দারাবাদ থেকে “মাসিক তরজুমানুল কোরআন” প্রকাশ।
- ১৯৩৩ সালে “ইসলামী তাহযিব আওর ইসকে ওসুল ও মুবাদি ” গ্রন্থ প্রণয়ন।
- ১৯৩৩ সালে “ইসলামী সংস্কৃতির মর্মকথা ও তাকদীরের হাকিকত” গ্রন্থ প্রণয়ন।
- ১৯৩৩-৩৮ সালে “ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব” গ্রন্থ প্রণয়ন।
- ১৯৩৩-৩৮ সালে তাফহীমাত ১ম,২য় খণ্ড গ্রন্থ প্রণয়ন।
- ১৯৩৪-৩৫ সালে ইসলামি দাওয়াত জনসম্মুখে তুলে ধরার সূচনা।
- ১৯৩৫ সালে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার ও ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রন গ্রন্থ প্রণয়ন।
- ১৯৩৬ সালে কবি আল্লামা ইকবালের সাথে মত বিনিময়ের সূচনা।
- ১৯৩৬ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা খসড়া প্রণয়ন।
- ১৯৩৬-৩৭ সালে ইসলাম পরিচিতি, সুদ, ও পর্দা গ্রন্থ প্রণয়ন।
- ১৯৩৮ সালে হায়দারাবাদ থেকে পূর্ব পঞ্জাবের পাঠান কোর্টে হিজরত।
- ১৯৩৮ সালে পাকিস্তানের স্বপ্ন দ্রষ্টা কবি আল্লামা ইকবালের পরামর্শে দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা।
- ১৯৩৮ সালে আল্লামা ইকবালের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ।
- ১৯৩৯ সালে “মুসলমান আওর মওজুদা সিয়াসী কাশামাকাশ” গ্রন্থ প্রকাশ ৷
- ১৯৩৮ সালে “ইসলাম ও জাতিয়তাবাদ” গ্রন্থ প্রকাশ ৷
- ১৯৩৮ সালে হাকীকত সিরিজের গ্রন্থ প্রকাশ।
- ১৯৩৯ সালে তাজদীদ ও এইয়ায়ে দ্বীন, ইসলামী ইবাদতের পর তাহককী গ্রন্থ রচনা।
- ১৯৩৯ সালে ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ ও ইসলামী ইবাদতের মর্মকথা রচনা।
- ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগের ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা খসড়া প্রণয়ণ কমিটির সদস্য।
- ১৯৪০ সালে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে “ইসলামী বিপ্লবের পথ’ শীর্ষক আলোচনা।
- ১৯৪০ সালে “ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন” গ্রন্থ প্রণয়ন।
- ১৯৪১ সালের ২৬ শে আগষ্ট ৭৫ জন লোক নিয়ে “জামায়াতে ইসলামী” প্রতিষ্ঠা।
- ১৯৪১ সালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জামায়াতের আমির নির্বাচিত।
- ১৯৪১ সালে “কুরআনের চারটি পরিভাষা” “ইসলাম ও জাহিলিয়াত” প্রণয়ন।
- ১৯৪১ সালে “নয়ানেজামে তালিম” “অর্থনৈতিক সমস্যার ইসলামী সমাধান” রচনা।
- ১৯৪১ সালে “একটি সত্যনিষ্ঠ দলের প্রয়োজন” গ্রন্থ রচনা ।
- ১৯৪২ সালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিস লাহোর থেকে দারুল ইসলামে স্থানান্তর ৷
- ১৯৪২-৪৭ সালে “রাসায়েল ও মাসায়েল” এবং “শান্তির পথ” গ্রন্থ রচনা ৷
- ১৯৪৩ সালে বিখ্যাত আন্দোলনমুখী তাফসীর গ্রন্থ “তাফহীমুল কোরআন” রচনা শুরু।
- ১৯৪৩ সালে “একমাত্র ধর্ম” ও “ইসলমী আইনে মুরতাদের শাস্তি” গ্রন্থ রচনা।
- ১৯৪৪ সালে “ইসলামের নৈতিক দৃষ্টিকোন” ও “শিরকের হাকীকত” গ্রন্থ রচনা।
- ১৯৪৫ সালে “তাওহীদের হাকিকত” “সমাজতন্ত্র ও ইসলাম” গ্রন্থ রচনা ।
- ১৯৪৪-৪৬ সালে ইসলামী আন্দোলনকে সুসংগঠিত ও সুদৃঢ়করনের উদ্যোগ ।
- ১৯৪৬ সালে “সত্যের সাক্ষ্য” “ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি” গ্রন্থ রচনা ৷
- ১৯৪৭ এ পাকিস্তান ভারত ভাগ হওয়ার পর জামায়াতও দুই ভাগ হয়ে যায় ।
- ১৯৪৭ সালে ২৪০ জন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ ও ৩৮৫ জন রুকন নিয়ে জমায়াতে ইসলামী পাকিস্তান গঠন।
- ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে জমিয়তে তালাবা (ছাত্রসংগঠন) প্রতিষ্ঠা হয়।
- ১৯৪৭ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ফলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিস শহরে স্থানান্তর।
- ১৯৪৭ সালে রিক্তহস্ত ও ছিন্নমূল অসহায় মুহাজিরিনের জন্য পুনর্বাসনের উদ্যোগ।
- ১৯৪৭ সালে রেডিও পাকিস্তান থেকে কুরবানির উপর মাওলানার প্রথম বেতার ভাষণ ৷
- ১৯৪৭ সালে জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াত। ভাঙ্গা ও গড়া তাকওয়ার হাকীকত রচনা।
- ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ৫ মাস পরে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু।
- ১৯৪৮ সালে ৬ ই জানুয়ারী পাকিস্তান আইন কলেজে ভাষণে ইসলামি দাবি পেশ।
- ১৯৪৮ সালে ৬ ই মার্চ ভাষনে ইসলামি শাসনব্যবস্থার জন্য ৪ দফা দাবি পেশ।
- ১৯৪৮ সালে ইসলামি শাসনের দাবিতে সভা সমাবেশ ও জনমত গঠনে অভিযান ৷
- ১৯৪৮ সালে মওলানা কাশ্মীরের জিহাদকে হারাম বলেছেন বলে মিথ্যা অভিযোগ।
- ১৯৪৮ সালের ১২ ই অক্টোবর মাওলানাকে সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ।
- ১৯৪৯ সালের ১২ মার্চ জামায়াতের আন্দোলনের ফলে সরকারের আদর্শ প্রস্তাব প্রকাশ।
- ১৯৪৯ সালে ৬-৮ ই মে জামায়াতের প্রথম নিখিল পাকিস্তান সম্মেলন।
- ১৯৪৯-৫০ সালে “সুদ -২য় খণ্ড” । “ভূমি মালিকানার বিধান” গ্রন্থ প্রনয়ন ৷
- ১৯৪৯-৫০ সালে “জাতীয় মালিকানা” ও “পাকিস্তান আওরাত দুরাহে” গ্রন্থ রচনা।
- ১৯৫০ সালের ২৮ শে মে মাওলানার কারামুক্তি।
- ১৯৫০ সালে সারাদেশে জনসভায় বক্তৃতা দান ৷
- ১৯৪৫ সালে “তাওহীদের হাকিকত” “সমাজতন্ত্র ও ইসলাম” গ্রন্থ রচনা।
- ১৯৪৪-৪৬ সালে ইসলামী আন্দোলনকে সুসংগঠিত ও সুদৃঢ়করনের উদ্যোগ।
- ১৯৪৬ সালে “সত্যের সাক্ষ্য” “ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি” গ্রন্থ রচনা ৷
- ১৯৪৭ এ পাকিস্তান ভারত ভাগ হওয়ার পর জামায়াতও দুই ভাগ হয়ে যায়।
- ১৯৪৭ সালে ২৪০ জন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ ও ৩৮৫ জন রুকন নিয়ে জমায়াতে ইসলামী পাকিস্তান গঠন।
- ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে জমিয়তে তালাবা (ছাত্রসংগঠন) প্রতিষ্ঠা হয়।
- ১৯৪৭ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ফলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিস শহরে স্থানান্তর।
- ১৯৪৭ সালে রিক্তহস্ত ও ছিন্নমূল অসহায় মুহাজিরিনের জন্য পুনর্বাসনের উদ্যোগ।
- ১৯৪৭ সালে রেডিও পাকিস্তান থেকে কুরবানির উপর মাওলানার প্রথম বেতার ভাষণ ৷
- ১৯৪৭ সালে জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াত। ভাঙ্গা ও গড়া তাকওয়ার হাকীকত রচনা।
- ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ৫ মাস পরে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু।
- ১৯৪৮ সালে ৬ ই জানুয়ারী পাকিস্তান আইন কলেজে ভাষণে ইসলামি দাবি পেশ।
- ১৯৪৮ সালে ৬ ই মার্চ ভাষনে ইসলামি শাসনব্যবস্থার জন্য ৪ দফা দাবি পেশ।
- ১৯৪৮ সালে ইসলামি শাসনের দাবিতে সভা সমাবেশ ও জনমত গঠনে অভিযান ৷
- ১৯৪৮ সালে মওলানা কাশ্মীরের জিহাদকে হারাম বলেছেন বলে মিথ্যা অভিযোগ।
- ১৯৪৮ সালের ১২ ই অক্টোবর মাওলানাকে সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ।
- ১৯৪৯ সালের ১২ মার্চ জামায়াতের আন্দোলনের ফলে সরকারের আদর্শ প্রস্তাব প্রকাশ ।
- ১৯৪৯ সালে ৬-৮ ই মে জামায়াতের প্রথম নিখিল পাকিস্তান সম্মেলন।
- ১৯৪৯-৫০ সালে “সুদ -২য় খণ্ড” । “ভূমি মালিকানার বিধান” গ্রন্থ প্রনয়ন ৷
- ১৯৪৯-৫০ সালে “জাতীয় মালিকানা” ও “পাকিস্তান আওরাত দুরাহে” গ্রন্থ রচনা।
- ১৯৫০ সালের ২৮ শে মে মাওলানার কারামুক্তি।
- ১৯৫০ সালে সারাদেশে জনসভায় বক্তৃতা দান ৷
- ১৯৬১ সালে আফ্রিকা সফরে সরকারের বাঁধা প্রদান।
- ১৯৬১ সালে হাদিস অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম।
- ১৯৬২ সালে মক্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইসলামি সম্মেলনে যোগদান।
- ১৯৬২ সালে বিশ্ব “রাবেতায়ে আলমে ইসলামি” প্রতিষ্ঠার রুপরেখা দান ।
- ১৯৬২ সালে রাবেতায়ে আলম প্রতিষ্ঠা ও আজীবন সদস্য নির্বাচিত (কমিটির)।
- ১৯৬৩ সালে লাহোরে নিখিল পাকিস্তান জামায়াত এর সম্মেলন বন্ধে সরকারের ব্যর্থ চেষ্টা ৷
- ১৯৬৩ সালে লাহোরে সম্মেলনে বক্তৃতা কালে গুলিবর্ষন ও জামায়াত কর্মীর শাহাদাত।
- ১৯৬৪ সালে ৪ঠা জানুয়ারি জামায়াত নিষিদ্ধ ও মাওলানা সহ সূরা সদস্যগণ গ্রেপ্তার।
- ১৯৬৪ সালে ১৯ শে জানুয়ারি জামায়াতের সকল রেকর্ডপত্র বাজেয়াপ্ত করণ।
- ১৯৬৪ সালে জামায়াতের বিরুদ্ধে সরকারি প্রচারনা তীব্রকরণ।
- ১৯৬৪ সালে ২৫ শে জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সরকারের পদক্ষেপ বেআইনী ঘোষণা ৷
- ১৯৬৫ সালে মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যলয়ের বৈঠকে অংশগ্রহনের পূর্বে পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত।
- ১৯৬৫ সালে ভারত কর্তৃক পাকিস্তান আক্রমন। রেডিও পাকিস্তানে জিহাদের উপর মওলানার ৬টি ভাষণ।
- ১৯৬৫ সালে যুদ্ধে জামায়াতের পক্ষ থেকে উদ্ধাস্তুদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার ত্রান।
- ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় জাতীয় সম্মেলনে তশখন্দ চুক্তির সমালোচনা।
- ১৯৬৬ সালে আলোচিত ও অনবদ্য গ্রন্থ “খিলাফত ও রাজতন্ত্র” রচনা।
- ১৯৬৬ সালে মাওলানার পূর্ব পাকিস্তান সফর ও দেশের সমস্যা নিরুপণ।
- ১৯৬৬ সালে রাবেতা আলমে ইসলামির বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে মাওলানার পুস্তিকা বিতরন।
- ১৯৬৭ সালে ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে মাওলানা-সহ ৪ জন খ্যাতনামা আলেম গ্রেপ্তার।
- ১৯৬৭ সালে ১৯ শে জানুয়ারি গ্রেপ্তারের পর কয়েকদিন গুম করে রাখা হয়।
- ১৯৬৮ সালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মাওলানার লন্ডন গমন।
- ১৯৬৮ সালে লন্ডনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুসলমানদের উদ্দেশ্য করে মাওলানার … ভাষণ।
- ১৯৬৮ সালে UK ইসলামিক মিশনে বিশ্বের সকল দেশের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মাওলানার ভাষণ।
- ১৯৬৯ সালে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে আইয়ুব খান কতৃর্ক গোলটেবিলে বৈঠকে যোগদান।
- ১৯৬৯ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রসমাবেশে বলেন, আল্লাহ ছাড়া সামরিক শক্তিকে ক্ষমতাচ্যুত করা আন্দোলনের মাধ্যমে কঠিন।
- ১৯৬৯ সালে মরক্কো ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সম্মেলনে যোগদান।
- ১৯৭০ সালে ১৭ ই জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানে নবম সফর।
- ১৯৭০ সালে মাওলানা ঘোষিত “শওকাতে ইসলাম দিবস” পালিত।
- ১৯৭০ সালে ১৮ ই জানুয়ারি মাওলানার ঢাকার পল্টন সমাবেশে হামলায় ২ জন ছাত্র নিহত। ৫০০ জনের বেশি আহত।
- ১৯৭০ সালে ৫/এ যায়দার পার্কে শেষ বিকেলের আসরে ছুরি হাতে যুবকের মাওলানাকে হত্যার চেষ্টা।
- ১৯৭০ সালের ২৮ জুন মাওলানার ঢাকায় ১০ম সফর। এটাই শেষ সফর।
- ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। জামায়াত-সহ সকল দলের অংশগ্রহন।
- ১৯৭১ সালে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির (আওয়ামীলীগ-মুজিব) হাতে ক্ষমতা দিতে বিবৃতি।
- ১৯৭৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে লাহোরে ইসলামি সম্মেলনে রাষ্ট্রপ্রধানের অংশগ্রহনে যোগদান। ভাষণ ৷
- ১৯৭২ এ জুন মাসে বিখ্যাত তফসির গ্রন্থ তাফহীমুল কুরআন রচনা সমাপ্ত।
- ১৯৭২ অবিরাম অসুস্থতার কারনে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পদ থেকে ইস্তফা।
- ১৯৭৪ সালে ইসলামি সম্মেলনে মুসলিম শাসকদের উদ্দেশ্যে মেমোরেন্ডাম পেশ ১২ দফা।
- ১৯৭৪ সালে এপ্রিলে সস্ত্রীক USA সফর, ইসলামি ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ ও সম্মেলনে।
- ১৯৭৭ সালের ৪ঠা জুলাই সেনাপ্রধান জিয়াউলের ক্ষমতা গ্রহণ, ইসলামি বিধান প্রবর্তনের পদক্ষেপ।
- ১৯৭৭ সালে ৬ষ্ঠ প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ছিলেন মওদূদীর অনুপ্রাণিত ব্যাক্তি।
- ১৯৭৯ সালে কিং ফয়সাল এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন এবং প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ ইসলামি গবেষণায় দান।
- ১৯৭৯ সালে ছেলে ডা. আহমদ ফারুক মওদূদীর সাথে স্বস্ত্রীক চিকিৎসার জন্য USA গমন।
- ১৯৭৯ সালের ৪ঠা আগষ্ট পেটের আলসার অপারেশন হয় ও সুস্থ হন।
- ১৯৭৯ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর হঠাৎ হার্ট এটাক করেন।
- ১৯৭৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মিলার ফ্লাওয়ার হাসপিটালে ইন্তিকাল করেন।
- ১৯৭৯ সালের মৃত্যু পর্যন্ত তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
- ১৯৭৯ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে জানাযা।
- ১৯৭৯ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর ৫-এ যাইলদার পার্কের বাসগৃহের সামনে দাফন।
মাওলানার কিছু মূল্যবান বাণী:
“আমি অতীত ও বর্তমানের কারো কাছ থেকে দ্বীনকে বুঝবার চেষ্টা না করে সর্বদা কোরআন ও সুন্নাহ থেকে বুঝবার চেষ্টা করেছি। অতএব খোদার দ্বীন আমার ও প্রত্যেক মুমিনের কাছ থেকে কি দাবি করে-এ কথা জানার জন্যে দেখার চেষ্টা করি না যে, অমুক বুযুর্গ কি বলেন ও কি করেন। বরঞ্চ শুধু দেখার চেষ্টা করি যে, কোরআন কি বলে এবং তার রাসূল (সাঃ) কি করেছেন”।
-আবুল আলা মওদূদী
“আমরা প্রকৃতপক্ষে এমন একটা দল তৈরি করতে চাই, যারা একদিকে দ্বীনদারী পরহেযগারীতে পারিভাষিক দ্বীনদার মুত্তাকী থেকে হবে অধিকতর অগ্রসর এবং অপরদিকে দুনিয়ার ব্যবস্থাপনা চালানোর জন্যে সাধারণ দুনিয়াদার থেকে হবে অধিকতর যোগ্যতা ও ক্ষমতাসম্পন্ন। সৎ লোকের এমন একটা দল গঠিত হওয়া উচিত, যারা লোকগুলো হবে খোদাভীরু, নিষ্ঠাবান ও বিশ্বস্ত। আর তারা ভূষিত হবে খোদার মনঃপূত চরিত্র ও গুণাবলীতে। তাঁর সাথে তাঁরা দুনিয়ার কাজ- কারবার বুঝতে পারবে দুনিয়াদারদের থেকে অধিকতর ভালোভাবে ।
-আবুল আ’লা মওদূদী
“আমার ও আমার সহকর্মী বন্ধুদের কাছে যখনই এ কথা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, আমরা চুল বরাবর কোরআন ও সুন্নাহ থেকে সরে পড়েছি, তখন ইনশাআল্লাহ দেখবেন যে, আমরা হকের দিকে ফিরে যেতে এক মুহুর্তও ইতস্তত করব না। কিন্তু আপনারা যদি হক ও বাতিলের কষ্টিপাথর খোদার কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতের পরিবর্তে কোন ব্যক্তিকে করেন, তাহলে আপনারা নিজেদেরকে ও নিজেদের ভবিষ্যত ব্যক্তির উপরেই সোপর্দ করুন। এর পূর্ণ অধিকার আপনাদের কাছে। অতঃপর খোদার কাছে এরুপ জবাব দিবেন, ‘হে খোদা, আমরা আমাদের দ্বীনকে তোমার কিতাব ও তোমার রাসূলের সুন্নাতের পরিবর্তে অমুক ও অমুক লোকের উপরে ছেড়ে দিয়েছিলাম’। আপনাদের এ জবাব যদি আপনাদেরকে খোদার কাছ থেকে বাঁচাতে পারে, তাহলে তা সন্তুষ্ট চিত্তে করতে থাকুন ।”
-আবুল আ’লা মওদূদী
“এ কাজ যদি আমরা দোকানদারীর মনোভাব নিয়ে করে থাকি, তাহলে আমাদের উপরে এবং আমাদের এ কারবারের উপরে হাজার হাজার লা’নত । আর যদি এটা ঐকান্তিকতার সাথে খোদার দ্বীনের খেদমত হয়, তাহলে আমাদের উপরে প্রত্যেকের খুশী থাকা উচিত যে, এ কাজ সে শুধু একাই করছে না বরং অন্যান্যরাও এতে লিপ্ত আছেন। আমাদের কাজ হচ্ছে এই যে, আমরা তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করব না। বার বার আমরা তার কাছে যাব, যাতে আল্লাহ তার মনকে ফিরিয়ে দেন।”
– আবুল আ’লা মওদুদী
“দ্বীনকে যেভাবে বিকৃত করা হচ্ছে, তা যদি আমি মেনে নিই এবং কিছু লোক আমাকে যেভাবে দেখতে চায়, আমি যদি তা হয়ে যাই, তাহলে এমন অপরাধী হবো যে, আল্লাহর কাছে আমাকে কঠিন জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে । সেদিন আমাকে কেউ সাহায্য করতে আসবে না। অতএব আমি তাদের ঠাট্টা-বিদ্রুপের পাত্র হওয়াকে শ্রেয় মনে করি আখেরাতে নিজেকে বিপন্ন করা থেকে । ”
-আবুল আ’লা মওদূদী
“খোদা সাক্ষী আছেন, কোন ব্যক্তি অথবা দলের প্রতি আমার কোন শত্রুতা নেই। আমি শুধু সত্যের বন্ধু এবং মিথ্যার দুশমন। যা আমি সত্য মনে করেছি, তার সত্যতার যুক্তিও পেশ করেছি। যা মিথ্যা মনে করেছি, তারও যুক্তি উপস্থাপন করেছি । যিনি আমার সাথে একমত নন, তিনি যুক্তি দিয়ে আমার ভুল ধরে দিলে, আমি আমার মত পরিবর্তন করতে পারি। এখনো কিছু লোক এমন আছেন, যাঁরা শুধু এ জন্যে ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন যে, তাঁর অথবা তাঁদের প্রিয় নেতার বিরুদ্ধে কিছু বলা হয়েছে। অথচ তাদের বিবেচ্য এটা নয় যে, যা বলা হয়েছে তা সত্য না মিথ্যা। এরূপ লোকের ক্রোধবহ্নিকে আমি কোন পরোয়া করি না। আমি তাঁদের গালির জবাব দেবো না এবং আমার পথ থেকে বিচ্যুত হবো না ।”
-আবুল আ’লা মওদূদী
“আমার স্পষ্টবাদিতা নিশ্চয়ই ঐ সব মহাত্মার কাছে কটু লাগবে, যারা মানুষকে সত্যের দ্বারা যাচাই করার পরিবর্তে সত্যকে মানুষের দ্বারা যাচাই করতে অভ্যস্ত । এর জবাবে আরো কিছু গালি খাবার জন্যে আমি নিজকে প্রস্তুত রেখেছি।”
-আবুল আ’লা মওদূদী
“আমার বড় দুঃখ হয়, মুসলমানদের নৈতিক অধঃপতন বর্তমানে এমন চরমে পৌছেছে যে, খোদার আইন-ভঙ্গকারীরা সদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপরদিকে যারা রাব্বুল আলামীনের আইন মেনে চলে ও অপরকে চলতে বলে, আজ তাঁরাই হচ্ছে লাঞ্ছিত ও অপমানিত।”
-আবুল আ’লা মওদূদী
“খোদার ফযলে আমি ভাবাবেগে কোন কাজ করিনি। আমার বক্তৃতায় যা কিছু বলেছি, তার প্রতিটি শব্দ পরিমাপ করে বলেছি এ কথা চিন্তা করে যে, এর হিসাব খোদার কাছে দিতে হবে, কোন বান্দার কাছে নয়। আমি নিশ্চিত যে, সত্যের বিপরীত একটি শব্দও আমি বলিনি। যা কিছু বলেছি, তা দ্বীনের খেদমতের জন্যে ছিল একান্ত অপরিহার্য। আমার আশংকা হয়েছিলো যে, এ কথা বলার জন্যে নয়, বরং না বলার জন্যে আমাকে খোদার কাছে দায়ী হতে হবে।”
-আবুল আ’লা মওদূদী
“আমি তাদের মধ্যে নই, যারা মিথ্যা প্রচারণা, ব্যক্তিগত কোন্দল এবং গালাগালি করাকে নিজেদের পেশা বানিয়ে নিয়েছে। বুযুর্গানে কওমের পাগড়ি বহনকারী এবং রাজনৈতিক মতভেদকে ব্যক্তিগত শত্রুতায় পরিবর্তনকারীদের আচরণ আমি সর্বদাই ঘূর্ণার চোখে দেখে এসেছি। আমাকে যাঁরা জানেন, তাঁরা এ সত্যটিও জানেন।”
-আবুল আ’লা মওদূদী
“আমি বসে গেলে দাঁড়িয়ে থাকবে কে?”
(১৯৬৩ সালে লাহোরে নিখিল পাকিস্তান জামায়াতের সম্মেলনে সরকারি গুন্ডা বাহিনীর গুলিবর্ষনের মুখে)
-আবুল আ’লা মওদূদী
“মৃত্যুর ফয়সালা যমীনে নয়, আসমানে হয়ে থাকে।”
(১৯৫৩ সালের ১১ই মে সামরিক আদালতে মাওলানার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হলে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে বললে)
একনজরে মাওলানা প্রণীত গ্রন্থাবলি:
কুরআন:
১। তরজমায়ে কুরআন মাজীদ । পৃ: ১২৪৮
২। তাফহীমুল কুরআন । ১-১৯ খণ্ড। পৃ: ৪১৬৫
৩। তাফহীমুল কুরআনের বিষয়সূচি। পৃ: ৫৪০
৪ । কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা । পৃ: ১১৯
৫। কুরআনের মর্মকথা৷ পৃ: ৪৮
হাদিস/ সুন্নাহ:
৬। সুন্নাতে রাসুলের আইনগত মর্যাদা। পৃ: ৩৩৬
৭। হাদিসের আলোকে কুরআনের মহত্ত্ব ও মর্যাদা । পৃ: ১৩৩
ইসলামি জীবন দর্শন:
৮। ইসলাম পরিচিত । পৃ: ১১২
৯। তাওহীদ রিসালাত আখিরাত । পৃ:৪৪
১০। ইসলামের জীবন পদ্ধতি পৃ: ৫৫
১১। একমাত্র ধর্ম ইসলাম ৷ পৃ: ৪৫
১২। শান্তির পথ। পৃ: ২৭
১৩। ইসলামী সংস্কৃতির মর্মকথা । পৃ: ২৭৯
১৪ । নির্বাচিত রচনাবলি । ১-৩ খণ্ড। পৃ: ১৩৪৪
১৫ । আল জিহাদ । পৃ: ৫৯২
১৬। ইসলাম ও জাহিলিয়াত । পৃ: ৪৮
১৭। ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব। পৃ: ২২৮
১৮ । ইসলামি জীবন ব্যবস্থার মৌলিক রূপরেখা। পৃ: ৩৮৪
১৯। ইসলামি দাওয়াতের দার্শনিক ভিত্তি। পৃ: ৩২
২০ । ইসলামের নৈতিক দৃষ্টিকোণ । পৃ: ৩২
২১ । ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ । পৃ: ১১৯
২২ । ইসলাম ও সামাজিক সুবিচার । পৃ: ২৪
২৩। ইসলামে শক্তির উৎস। পৃ: ৬৭
২৪ । কুরবানীর শিক্ষা । পৃ: ৪৮
২৫ । ইমানের হাকিকত । পৃ: ৪৮
২৬। ইসলামের হাকিকত ৷ পৃ: ৪৪
২৭। নামায রোজার হাকিকত । পৃ:৬৫
২৮। হজের হাকীকত । পৃ: ৪৮
২৯। যাকাতের হাকীকত ৷ পৃ: ৫৮
৩০ । জিহাদের হাকীকত ৷ পৃ: ২৮
৩১ । তাকদীরের হাকীকত । পৃ: ১০২
৩২ । শিক্ষা ব্যবস্থা : ইসলামী দৃষ্টিকোণ। পৃ: ১৩৩
আইন, রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা:
৩৩। ইসলামী আইন ৷ পৃ: ৬৩
৩৪ । ইসলামী রাষ্ট্র। পৃ: ৭০০
৩৫ । খেলাফত ও রাজতন্ত্র। পৃ: ২৯৪
৩৬। ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ । পৃ: ৬৩
৩৭। উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুসলমান। ১-খণ্ড। পৃ:৮৭৭
৩৮ । ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রনয়ণ । পৃ: ৮৬
৩৯ । ইসলামী শাসনতন্ত্রের মূলনীতি । পৃ: ৮৬
৪০। মৌলিক মানবাধিকার । পৃ: ৩২
৪১। ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিমদের অধিকার । পৃ: ৫০
৪২। দক্ষিণাত্যের রাজনৈতিক ইতিহাস। পৃ: ২৮৬
৪৩। কুরআনের রাজনৈতিক শিক্ষা । পৃ:
৪৪ । জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের ভিত্তি । পৃ:২৪
৪৫। মুরতাদের শাস্তি । পৃ: ৬৮
ইসলামি আন্দোলন ও সংগঠন:
৪৬। ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি। পৃ: ৪৭
৪৭। ইসলামি রেনেঁসা আন্দোলন। পৃ: ১২২
৪৮ । জামায়াতে ইসলামির উদ্দেশ্য ইতিহাস কর্মসূচী। পৃ: ৮০
৪৯ । আল্লাহর পথে জিহাদ । পৃ: ৩২
৫০। ইসলামি আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি। পৃ: ৬২
৫১ । ইসলামি আন্দোলন সাফল্যের শর্তাবলী। পৃ: ৬৪
৫২। মুসলমানদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের কর্মসূচী। পৃ: ৭৮
৫৩। ইসলামি বিপ্লবের পথ। পৃ: ৫৬
৫৪ । ইসলামি আন্দোলনের ভবিষ্যত কর্মসূচী। পৃ: ১৩৪
৫৫ । আন্দোলন সংগঠন কৰ্মী ৷ পৃ: ২২৪
৫৬। দায়ী ইলাল্লাহ ও দাওয়াত ইল্লাল্লাহ । পৃ: ৪২
৫৭। ভাঙ্গা ও গড়া ৷ পৃ: ৩২
৫৮। একটি সত্যনিষ্ঠ দলের প্রয়োজন। পৃ:২৩
৫৯। শাহাদতে হুসাইন (রা:) পৃ: ১৬
৬০ । বিশ্ব মুসলিম ঐক্যজোট আন্দোলন। পৃ: ৪৩
৬১। সত্যের সাক্ষ্য ৷ পৃ:৪০
৬২ । আজকের দুনিয়ায় ইসলাম। পৃ: ৪২
৬৩। জামায়াতে ইসলামীর ২৯ বছর। পৃ: ৫৪
অর্থনীতি ও ব্যাংক ব্যবস্থা:
৬৪ । ইসলামী অর্থনীতি । পৃ: ৩২৮
৬৫ । অর্থনৈতিক সমস্যার ইসলামী সমাধান। পৃ: ৩৮
৬৬। কুরআনের অর্থনৈতিক নির্দেশিকা । পৃ: ৫০
৬৭। ইসলাম ও আধুনিক অর্থনৈতিক মতবাদ । পৃ: ১২৬
৬৮। ইসলামী অর্থব্যবস্থার মূলনীতি। পৃ: ৩১
৬৯। সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং। পৃ: ৩০২
৭০। ভুমির মালিকানা বিধান। পৃ: ৯৬
দাম্পত্য জীবন ও নারী:
৭১ । পর্দা ও ইসলাম । পৃ: ২৮০
৭২।স্বামী স্ত্রীর অধিকার । পৃ: ১৫১
৭৩। ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ । পৃ: ১৩১
৭৪ ৷ মুসলিম নারীর নিকট ইসলামের দাবি। পৃ: ২৪
তাযকিয়ায়ে নফস:
৭৫ । হিদায়াত । পৃ: ৫৫
৭৬। ইসলামের বুনিয়াদী শিক্ষা । পৃ: ২৭৪
৭৭। ইসলামী ইবাদতের মর্মকথা। পৃ: ৮৮
৭৮ । আত্মশুদ্ধির ইসলামী পদ্ধতি। পৃ: ৪৮
সীরাত:
৭৯। সীরাতে সরওয়ারে আলম। ১-৫ খণ্ড । পৃ: ১২৭৬
৮০। খতমে নবুওয়াত । পৃ: ৭৫
৮১। নবীর কুরআনী পরিচয়। পৃ: ৪০
৮২। আদর্শ মানব । পৃ: ৩২
৮৩। সাহাবায়ে কিরামের মর্যাদা । পৃ: ৪০
সামগ্রিক:
৮৪। রাসায়েল ও মাসায়েল । ১-৫ খন্ড । পৃ: ১৬৭৯
৮৫। যুবসমাজের মুখোমুখি মাওলানা মওদূদী। পৃ: ৪৫০
৮৬। যুগ জিজ্ঞাসার জবাব । ১-২ খণ্ড। পৃ: ৪৪৮
৮৭। বিকেলের আসর। ১-২ খণ্ড পৃ: ২৫০
৮৮ । পত্রাবলী । ১-২ খন্ড । পৃ: ৪৫৫
৮৯। বেতার বক্তৃতা ।
৯০ । মাওলানা মওদূদীর সাক্ষাৎকার। পৃ: ৪০০
৯১। খুতবাতুল হারাম । পৃ: ৩৮
৯২ । পত্রালাপ মাওলানা মওদূদী ও মরিয়ম জমিলা । পৃ: ২০০
৯৩। কাদিয়ানী সমস্যা । পৃ: ৭০
মাওলানা মওদূদী সম্পর্কে বাংলাভাষায় কয়েকটি বই:
বইয়ের নাম লেখকের নাম
১. বিশ্বের মনীষীদের দৃষ্টিতে মাওলানা মওদূদী – আব্বাস আলী খান সম্পাদিত
২. মাওলানা মওদূদী – আব্বাস আলী খান
৩. আলেমে দ্বীন মাওলানা মওদূদী – আব্বাস আলী খান
৪. ইসলামের পুনরুজ্জীবনে মাওলানা মওদূদীর অবদান – অধ্যাপক গোলাম আযম
৫. জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস – আব্বাস আলী খান
৬.জামায়াতে ইসলামীর কার্যবিবরণী- ১ম খণ্ড
৭. জামায়াতে ইসলামীর কার্যবিবরণী- ২য় খণ্ড
৮. সত্যের আলো – মাওলানা বশীরুজ্জামান
৯. কুরআনের দেশে মাওলানা মওদূদী – মুহাম্মদ আসেম
১০. মাওলানা মওদূদীর বহুমুখী অবদান – আব্বাস আলী খান
১১. জামায়াতে ইসলামীর বিরোধিতার অন্তরালে – আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ
১২. আজাদী আন্দোলনে আলেম সমাজের ভূমিকা – জুলফিকার আহমদ কিসমতী
১৩. ছোটদের মওদূদী – শেখ আনসার আলী
১২. মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব – মাওলানা আবদুল হাকীম
১৫. মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তাত্ত্বিক পর্যালোচনা – মুফতী মুহাম্মদ ইউসুফ
১৬. খৈলাফত ও রাজতন্ত্র গ্রন্থ সম্পর্কে অভিযোগের জবাব – বিচারপতি মালিক গোলাম আলী
১৭. মাওলানা মওদূদীকে যেমন দেখেছি – অধ্যাপক গোলাম আযম
তথ্যসূত্র সংগৃহীত-
০১. সংক্ষেপে মাওলানা মওদূদী – মু. সাইয়্যেদ আজম মওদূদী
০২. মাওলানা মওদূদী: একটি জীবন একটি ইতিহাস – আব্বাস আলী খান
সংকলনে: আরমানের খেরোখাতা