কিছু মানুষ থাকেন উজ্জ্বল আলোর মতো… নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বলে। যাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বাছাই করে থাকেন দ্বীনের পুনর্জাগরণের জন্য, একে সংরক্ষণ করার জন্য। তারা মৃত্যুর পরও যেন বেঁচে থাকেন উত্তরসূরীদের মাঝে; অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে। যাতে মানুষ তাদের দেখানো পথে চলতে পারে। খুঁজে নিতে পারে সীরাতুল মুস্তাকীম তথা সরল-সঠিক পথের দিশা। নিঃসন্দেহে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রহ. তাদের মধ্যে একজন।
উম্মাহর মহান পূর্বসূরী সালফে সালেহীনদের মাঝে দ্বীনের জন্য তার চেয়ে অধিক পরীক্ষার সম্মুখীন খুব কম লোকই হয়েছেন। হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুসংহত সংরক্ষণ, আহালুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআ’ এর আক্বীদার ক্ষেত্রে আপোষহীনতা এবং মুসলিম উম্মাহর গৌরব সংরক্ষণে তার অবদান অনস্বীকার্য। তাই ‘ইমামু আহলিস সুন্নাহ’ বললে সর্বপ্রথম যে নামটি সর্বমহলে উচ্চারিত হয়, তা হলো ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রহ.।
নাম:
তিনি সত্যিকার ইমাম, স্বনামধন্য শায়খুল ইসলাম, তৎকালীন বিজ্ঞ আলেম, আবু আবদুল্লাহ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বাল বিন হিলাল বিন আসাদ বিন ইদরিস বিন আবদুল্লাহ বিন হাইয়ান বিন আবদুল্লাহ বিন আনাস বিন আওফ বিন কাসিত বিন মাযিন বিন শাইবান বিন যুহল বিন সা‘লাবাহ বিন উকাবাহ বিন সায়াব বিন আলি বিন বকর বিন ওয়েল আয-যুহলি, আশ-শাইবানি, আল-মারওয়াযি, আল-বাগদাদি।
জন্ম:
আব্বাসী খেলাফতের সময়কাল। হারুনুর রশিদের পিতা মুহাম্মাদ আল-মাহদি তখন মসনদে। সময়টা ১৬৪ হিজরি। ইসলামী ভূখণ্ড তখন এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্তার লাভ করেছে। এই বছরেরই রবিউল আউয়াল মাসে উম্মাহর এই রত্ন আহমাদ রহ. বর্তমানে দক্ষিণ ইরাকের বসরায় জন্মগ্রহণ করেন।। তিনি ছিলেন আরবের ‘বনু শাইবান’ গোত্রের। ইতিপূর্বে তার দাদা খোরাসানে হিজরত করেন। সেখানে তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ একটি সরকারি পদে দায়িত্বরত। পরবর্তীতে ইমাম আহমাদের পিতা মুহাম্মাদ বাগদাদে চলে আসেন। তৎকালীন সময়ে বাগদাদ ছিল মুসলিম খেলাফতের কেন্দ্র তথা রাজধানী।
খলিফা মানসুর ১৪৫ হিজরিতে আব্বাসী খেলাফতের রাজধানী হিসেবে ইরাকের টাইগ্রিস নদীর পশ্চিম তীরে প্রাচীন সাসানীয় গ্রাম বাগদাদে ইসলামের ইতিহাসে এক অনন্যসাধারণ ও ব্যতিক্রমধর্মী স্থাপত্যিক নিদর্শনসমৃদ্ধ এই ঐতিহাসিক নগরটি নির্মাণ করেন। বিজ্ঞান, স্থাপত্য, দর্শন, সাহিত্য মোটকথা জ্ঞানবিজ্ঞানের কেন্দ্র ছিল বাগদাদ। রাষ্ট্রীয়ভাবে এ খাতে ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করা হতো। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ত্বলিবুল ইলম ও শাইখগণ বাগদাদে আসতেন। পরবর্তীতে খলিফা মামুনের আমলে বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বায়তুল হিকমাহ’ বা উইজডম হাউস, যা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও অনুবাদ সাহিত্যের বিশ্ববিখ্যাত ইন্সটিটিউট। ইমাম আহমাদ রহ. জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমৃদ্ধির এই সময়ে জন্মগ্রহণ করেন।
অল্প বয়সেই হারান পিতাকে:
ইমাম আহমাদের রহ. পিতা মুহাম্মদ, মারওয়া অঞ্চলে আব্বাসীদের সেনাবাহিনীর লোক ছিলেন। ত্রিশ বছর বয়সেই তিনি মারা যান। ইমাম আহমাদ রহ. তখন নিতান্তই শিশু। ফলে আহমাদ পিতৃস্নেহ ছাড়াই বেড়ে ওঠেন। তার মা তাকে নিয়ে মারওয়া থেকে চলে গিয়েছিলেন। ইমাম আহমাদের পুত্র সালিহ বিন আহমাদ রহ. বলেন, ‘আমার বাবা ইমাম আহমাদকে রহ. মারওয়া শহর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। আর যুবক বয়সেই তার বাবা মারা যান। পরবর্তীতে তার মা-ই তার প্রতিপালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।’
এক মা, যিনি আহমাদ কে গড়েছেন ইমাম আহমাদ হিসেবে:
ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহর মায়ের নাম সাফিয়্যা বিনতে মাইমুনাহ আশ-শাইবানি। বাগদাদের হিমশীতল রাতগুলোতে, এই মহীয়সী নারী উঠে যেতেন ফজরের অনেক আগেই। উঠে ছেলেকে জাগানোর আগেই উযূর জন্য গরম পানি প্রস্তুত করে রাখতেন। ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত উভয়েই ব্যস্ত থাকতেন ক্বিয়ামুল লাইলে। আযান হলেই ছেলেকে প্রস্তুত করতেন মা। ছেলেকে যে সকাল সকাল বাগদাদের বড় মসজিদের দারসে যেতে হবে। কিন্তু হায়! পিতৃহারা এই বালককে ঘুটঘুটে অন্ধকারে মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে যাবার যে কেউ নেই! বাড়ি থেকে মসজিদ তো অনেক দূরের পথ।
কিন্তু তিনি দমে যাননি। উম্মাহর ইমামদের মায়েদের দমে যেতে হয় না। জড়িয়ে নিলেন জিলবাব, ছেলেকে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচাতে কম্বল পেঁচিয়ে নিলেন। তারপর নিজেই রওয়ানা হলেন ছেলেকে নিয়ে। বাগদাদের ঠাণ্ডা-অন্ধকার গলি ধরে। ফজরের অনেকটা আগেই। আমার ছেলেকে যে হাদিসের হালাকায় একটি ভালো যায়গায় বসতে হবে! অনেক শিখতে হবে তাকে! ছেলে আহমাদ সারা দিনব্যাপী কুরআন-সুন্নাহর ইলম শিক্ষা করতেন। অপেক্ষায় থাকতেন মা। আবার নিয়ে যেতেন ছেলেকে। ইমাম আহমাদের বয়স ছিল তখন ১০ বছর।
চিন্তা করে দেখুন, শিশু আহমাদ নিজের সামনে কী দেখতে দেখতে বেড়ে উঠছিলো। তাকে দেখাশোনা করার জন্য, তাকে গড়ে তোলার জন্য তার মা সমস্ত পার্থিব সুখ বিসর্জন দিয়েছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর পুনরায় বিয়েও করেন নি। আর্থিক কষ্টের মধ্য দিয়ে দুনিয়াবি সাজসজ্জা পরিত্যাগ করে, সন্তানের সামনে প্রতিকুল পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরা, দ্বীনের উপর অটল-অবিচল থাকার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন। শিশু আহমাদের উপর এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ছিল। এই প্রভাব পরবর্তীতে তার জীবনের যুহুদ (দুনিয়াবিমুখতা), ন্যায়ের উপর অবিচল থাকা, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণের বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়।
ইমাম আহমাদের মা তাকে আরবী ভাষা শেখাতে ও কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি ছেলেকে ফারসি ভাষাও শেখান, যা তিনি মারওয়াতে অবস্থানকালে শিখেছিলেন। আদরের সন্তানকে শোনাতেন ইসলামের গৌরবগাঁথার কবিতা। বাদ যেত না সাহাবীদের ঘটনাও। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যেন বাগদাদের শাইখদের সাথে, বিশেষত মুহাদ্দিসীনগণের (হাদিস বিশারদ) সাথে ইমাম আহমাদের একটি দৃঢ় সংযোগ তৈরী হয়।
আবদুল্লাহ বিন আহমাদ বিন হাম্বাল রহ. তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেন; তিনি বলেন, “আমি খুব ভোরেই হাদিস শেখার জন্য বেরিয়ে যেতাম। মা কাপড় টেনে ধরে বলতেন, ‘আযান হোক পরে যাও।’ অধিকাংশ সময় আমি প্রত্যুষে আবূ বকর বিন আইয়াশ রহ. এর মজলিসে গিয়ে উপস্থিত হতাম।” ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহর বয়স যখন ১৬, তার মা কিছু সঞ্চিত টাকাপয়সা ও খাবার দিয়ে ছেলেকে বললেন, ‘যাও, ইলমের জন্য সফর করো’। যাওয়ার সময় ছেলেকে বললেন,
“হে আমার পুত্র! যখন কোনো কিছু আল্লাহর কাছে সঁপে দেয়া হয়, আল্লাহ অবশ্যই তা হিফাযত করেন। আমি তোমাকে আল্লাহর নিকট ন্যাস্ত করলাম, যিনি কখনো বিশ্বাসভঙ্গ করেন না।”
ইমাম আহমাদ বসরা, কুফা, মক্কা-মদিনাসহ বিভিন্ন স্থানে সফর করেছেন। সান্নিধ্যে গিয়েছেন বড় বড় উস্তাযদের। হয়ে উঠেছেন উম্মাহর ইমাম। এ যেন সেই মহীয়সী মায়ের শত ত্যাগ-তিতিক্ষার ফল।
মায়ের মৃত্যুর সময় ইমাম আহমাদের বয়স ত্রিশের কোঠায়। তিনি তার ছেলেকে তৎকালীন সময়ের অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য আলিম হিসেবে দেখে যেতে পেরেছেন। ইমাম আহমাদ ছাত্রদের কাছে তার মায়ের কথা উল্লেখ করতেন, তাকে অনুসরণ করতেন, তার প্রচেষ্টাকে সম্মান করতেন এবং ধারণ করতেন তার শিক্ষাকে।
সুবহানাল্লাহ! আজ আমাদের কেন এত হাহাকার? উমার ইবনুল খাত্তাব, খালিদ বিন ওয়ালিদ, সালাহউদ্দীন আইয়ুবীরা নেই বলে? ভেবে দেখুন তো! আমাদের এই করুন অবস্থার কারণ কী?
অনেক কারণই আছে। কিন্তু এর মধ্যে একটা বড় কারণ হচ্ছে আজ উম্মাহর মায়েরা আর উমার ইবনুল খাত্তাব, খালিদ বিন ওয়ালিদ, সালাহউদ্দীন আইয়ুবীদের মা হতে চান না। পশ্চিমা শিক্ষা তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে উচ্চাভিলাষী হতে শিখিয়েছে। ইসলাম নারীদের ঘরে আটকে রাখে বলে যে অভিযোগ পশ্চিমারা করে সেটাই ছিল মুসলিমদের পাওয়ার হাউজ, সেটাই সবচেয়ে মর্যাদা আর সম্মানের দায়িত্ব। হায়! উম্মাহর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্বটি বাড়ির কাজের লোকদের হাতে হেলায় ছেড়ে দিচ্ছেন?
হে বোনেরা! সামনের মুসলিম উম্মাহর জন্য খুবই কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে বোনদের কোনভাবেই উচিত হবে না অহেতুক জিনিস নিয়ে পড়ে থাকা। সোশাল মিডিয়া, নাটক-সিরিয়াল, ফ্যাশন এসব নিয়ে ভাবার ফুসরত কোথায়? আফসোস আজ আমরা নিজেরাই জানি না আমাদের অনুসরণীয় কারা।
ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেছেন, ‘নারীরা সংখ্যায় উম্মাহর অর্ধেক, আর তাঁরা উম্মাহর বাকি অর্ধেকের জন্ম দেন। সুতরাং নারীরাই একটি উম্মাহ।’
ইলমের বাগানে:
শৈশবকাল থেকেই ইমাম আহমাদের ছিল জ্ঞানার্জনের প্রতি প্রবল আগ্রহ। সুতরাং ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহর বয়স যখন ষোল, তখন জ্ঞানার্জনের প্রতি তাঁর প্রবল ক্ষুধা, উত্সর্গতা এবং অদম্য নিষ্ঠা তাকে বাগদাদ, কুফা, বাসরাহ, মক্কা, মদিনা, ইয়েমেন, বৃহত্তর সিরিয়া এবং আরব উপদ্বীপ জুড়ে জ্ঞানের সন্ধানে ভ্রমণ করতে প্ররোচিত করে। ইমাম আহমাদ জ্ঞান সাধনায় এতটাই মগ্ন হয়েছিলেন যে চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি চাকুরী বা বিয়ে কোনটিই করেননি।
ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহর ইলম অর্জনের সূত্রপাত হয়েছিল বাগদাদের শাইখগণের কাছ থেকে। পরবর্তীতে ইলমের জন্য তিনি কুফা, বসরা, মক্কা, মদিনা, ইয়েমেন, শাম প্রভৃতি দেশে সফর করেন। প্রতিটি দেশের আলিমগণের থেকেই তিনি শিক্ষালাভ করেন। ১০ বছর বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআন হিফয করেন। ছোটবেলা থেকে তার উজ্জ্বল মেধার পরিচয় পাওয়া যেতে থাকে।
আবদুল্লাহ বিন আহমাদ রহ. বলেন, “আমার বাবা (ইমাম আহমাদ) ইমাম আবূ ইউসুফ রহিমাহুল্লাহ এবং ইমাম মুহাম্মদ রহিমাহুল্লাহ থেকে অনেকগুলো কিতাব লিখেছেন। তিনি সেগুলো মুখস্থ করতেন। মুহান্না রহ. বলেন, ‘অনেক সময় আমি ইমাম আহমাদকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলতেন, ‘এগুলো তাদের কিতাবে নেই।’ তারপর আমি তাদের কাছে (ইমাম আবূ ইউসুফ রহ. এবং ইমাম মুহাম্মদ রহ.) গেলে তারা বলতেন, ‘তোমার সঙ্গীই (আমাদের) কিতাবগুলো সম্পর্কে আমাদের চেয়ে বেশি অবগত।’
তার জ্ঞানের সাধনার প্রথম বিষয় ছিল হাদিস। তিনি আবু মু’আবিয়া হুশাইম বিন বশীর এর হালাকায় যোগ দিয়েছিলেন এবং তার কাছে ১৭৯ হিজরী থেকে ১৮৩ হিজরী পর্যন্ত চার বছর অধ্যয়ন করেছিলেন, অন্য কোন আলেমের সাথে তিনি এত বেশি সময় ব্যয় করেন নি। তিনি বাগদাদে ইমাম আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহর ছাত্র ইমাম আবূ ইউসুফ রহিমাহুল্লাহর নিকট শিক্ষালাভ করেন।
আব্বাস আদ-দাওরি রহিমাহুল্লাহ ইমাম আহমাদ থেকে বর্ণনা করেন; তিনি বলেন, “সর্বপ্রথম আমি হাদিস শেখার জন্য বিচারপতি আবু ইউসুফের কাছে যেতাম।”
সেখানে তিনি আবদুর রহমান বিন মাহদী ও আবু বকর বিন আইয়াশ এর সাথে সময় কাটাতেন। এমনকি সেই সময়কার একজন সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিত শাইখ হয়ে ওঠার পরেও তিনি হালাকাগুলোতে আসা-যাওয়া থেকে বিরত হননি। বরং অল্প বয়স্ক ছাত্রদের সাথে বসে দারস শুনতেন এবং যা যা শুনতেন তা লিখে ফেলতেন। কখনও বিরক্ত হতেন না।
একদা এক ব্যক্তি ইমাম আহমাদকে কালির পাত্র বহন করতে দেখে আশ্চর্য হয়ে তাকে বলেছিলেন, “হে আবু আবদুল্লাহ! মর্যাদায় এই স্তরে পৌঁছে এবং মুসলমানদের একজন ইমাম হওয়ার পরেও আপনি এ কাজ করছেন?’
ইমাম আহমাদ উত্তরে বলেছিলেন, “কালির পাত্র নিয়েই কবরে (যাবো)” বর্ণিত আছে যে তিনি আরও বলেছিলেন, “আমি কবরে প্রবেশ না করা পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষণ করতে থাকবো।”
তথ্যসূত্র:
- سيرأعلامالنبلاء , شمسالدينالذهبي
مناقب الامام احمد بن حنبل , ابن الجوزي