মসজিদ সবার। মসজিদ নিয়ে দলাদলি নাই। অনেক জায়গায় হানাফী মসজিদ, আহলে হাদীস মসজিদ এরকম মসজিদ আমরা দেখি। এগুলো ঠিক না। হানাফি মসজিদ বলে কিছু নাই, আহলে হাদীস মসজিদ বলে কিছু নাই। ছোট্টখাটো বিষয় নিয়ে দলাদলি ঠিক না। একজন হাত তুলে, আরেকজন তুলে না (রফউল ইয়াদাঈন), একজন জোরে আমিন বলে, আরেকজন আস্তে আমিন বলে। এগুলো নিয়ে মারামারি আছে না? এগুলো কি মারামারি করার কোনো বিষয়?
নামাজে ফরজ আছে, ওয়াজিব আছে, সুন্নাত আছে। খুব মন দিয়ে বুঝবেন। ফরজ যদি নষ্ট হয়, নামাজ ভঙ্গ হয়। নামাজ আবার পড়তে হবে। ওয়াজিব যদি নষ্ট হয়, নামাজ ভঙ্গ হয় না, পুনরায় পড়াও লাগে না; সাহু সিজদাহ দিলে নামাজ আদায় হয়ে যায়। আর সুন্নাত ভঙ্গ হলে নামাজ নষ্ট হয় না, পুনরায় আদায় করা লাগে না, সাহু সিজদাহও দেওয়া লাগে না।
আমিন জোরে বলা কিংবা আস্তে বলা এটা সুন্নাত। হাত তোলা বা না তোলা এটা সুন্নাত। এগুলো যদি কেউ না-ও করে তবে তার নামাজ কবুল হবে। আর আমরা এই মতবিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে করছি কিলাকিলি! আমরা চাই এগুলোর অবসান ঘটুক। আর কতো ছোটোখাটো বিষয়গুলো নিয়ে বিভেদের প্রাচীর তুলবো আমাদের মাঝখানে? কবে আমরা ঐক্যের সিন্ডিকেট করবো? কবে? কবে আমরা সাদা মনের মানুষ হবো? কবে? অনেক হয়েছে, আর না। এবার থামেন। বিবেদের প্রাচীরকে ভেঙ্গে ঐক্যের এমন সিন্ডিকেট গড়ুন যাতে কোনো অপশক্তি এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে না পারে।
আল্লাহর হাবীব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খ্রিস্টানদেরকেওমসজিদে ঢুকতে দিয়েছেন। আর আমরা মুসলিম ভাইদের জন্য মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেই! আল্লাহর হাবীব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোথাও গেলে মসজিদ বানাতেন। মদীনায় হিজরত করার পথে তিনি যখন কুবায় যান, তখন কুবায় মসজিদ বানালেন- মসজিদে কুবা। বিশ্বনবী প্রতি শনিবার ঐ মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তেন [সহীহ বুখারী: ১১৯৩]। তারপর মদীনায় গিয়ে তিনি বানালেন মসজিদে নববী।
হায় রে হায়! এখন আমরা কতো সুন্দর সুন্দর মসজিদ দেখি। কিন্তু, আল্লাহর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদ কি এতো সুন্দর ছিলো? তাঁর মসজিদের ফ্লোর ছিলো বালুর ফ্লোর। আর আমাদের মসজিদের ফ্লোর কী? টাইলসের ফ্লোর। বিশ্বনবী বালির ফ্লোরে নামাজ পড়তেন। বৃষ্টি হলে বালিগুলো কাদা হয়ে বিশ্বনবীর কপালে লেগে যেতো [সহীহ বুখারী: ৮৩৬]। তিনি মুখ ফিরিয়ে দেখতেন সাহাবীদেরও একই অবস্থা। তাঁদের মুখ আর নাকে কাদামাটি মিশে আছে।
তারমানে বিশ্বনবীর মসজিদে নববী ছিলো কাঁচা, কিন্তু মুসল্লি ছিলো পাকা। আর আমাদের মসজিদগুলো হয়েছে পাকা, মুসল্লি হয়েছে কাঁচা। ফজরের নামাজে মানুষ নাই। পাঁচ-ছয়জন ফজরের নামাজে। সারাদিন স্লোগান দিলেন ‘বিপ্লব-বিপ্লব’ আর ফজরের নামাজে আপনি কম্বলের ভেতরে। এরকম করে বিপ্লব করবেন? আমরা মসজিদের আবাদকারী হতে চাই। আল্লাহ কুরআনে বলেন: “একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” [সূরা আত-তাওবা: ৯:১৮]
মসজিদের আবাদকারী তারা, যারা দুনিয়ার কাউকে ভয় পায় না, ভয় পায় একমাত্র আল্লাহকে।
“যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়
তারা কভু পথ ভুলে যায় না।
আল্লাহর প্রেম ছাড়া এই দুনিয়ায়
কারো কাছে কোনোকিছু চায় না।”
এখন আপনি মসজিদের আবাদকারী হতে চান, কিন্তু আপনি মসজিদেই যান না। আপনি কি মসজিদের আবাদকারী হতে পারবেন? মসজিদ কমিটির অনেক সভাপতি আছেন, যারা মসজিদে যান না, অনেক সেক্রেটারি আছেন, যারা মসজিদে যান না। এটা কিছু হলো? এজন্য সভাপতি সাহেবগণ! আপনারা এতো কষ্ট করে মসজিদ বানিয়েছেন, মসজিদে যাবেন। তাহলেই আপনি মসজিদের আবাদকারী হতে পারবেন।
বিশ্বনবী বলেন, “যে ব্যক্তি সকাল বা সন্ধায় যতোবার মসজিদে যায়, আল্লাহ ততোবার তার জন্য জান্নাতে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করে রাখেন।”[সহীহ বুখারী: ৬৬২] এখন বলি মসজিদের আবাদ কিভাবে করতে হয়। মসজিদ আবাদ করার প্রথম মাধ্যম হচ্ছে মসজিদ নির্মাণ করা। বিশ্বনবী বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় মসজিদ বানায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ একটা ঘর বানান।” [সহীহ বুখারী: ৪৫০]
মসজিদ আদায় করার দুই নাম্বার মাধ্যম হচ্ছে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করা। বিশ্বনবী বলেন, “জামাতে নামাজের ফজিলত ঘরে নামাজ পড়ার চেয়ে সাতাশ গুণ বেশি।”[সহীহ বুখারী: ৬৪৫]
মসজিদ আদায়ের তিন নাম্বার মাধ্যম হলো মসজিদের সাথে সম্পর্ক জুড়ে দেওয়া। হৃদয়টা যেন সবসময় মসজিদের সাথে লেগে থাকে। আল্লাহর হাবীব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সাত শ্রেণীর লোককে আল্লাহ আরশের নিচে ছায়া দিবেন, যেদিন আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না।”সেই দিনটা কি আজকের মতো হবে? না। পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান সমান হবে [সহীহ মুসলিম: ২১৮০]। সেই দিন সূর্যটা মাথার কাছে চলে আসবে। সূর্যের তাপে মগজগুলো নাকের ছিদ্র আর কানের ছিদ্র দিয়ে টপটপ করে পড়তে থাকবে। সবাই পাগল হয়ে ছুটতে থাকবে, কোনো ছায়া নেই আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া।
যেই সাত শ্রেণীর মানুষকে ঐ দিন আল্লাহ তাঁর আরশের নিচে ছায়া দিবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণী হলো তারা, যাদের হৃদয়টা সবসময় মসজিদের সাথে লেগে থাকে [সহীহ বুখারী: ৬৬০]। অনেক নামাজী দেখবেন যুহর পড়ে টেনশন করে, আসরটা কই পড়বো? আসর পড়ে টেনশন করে, মাগরিবটা কই পড়বো? মাগরিবের পর টেনশন, ইশ! এশাটা হয়ে গেলে তো শেষ! এরকম লোক আছে না? তাদেরকে সেই কঠিন, ভয়াবহ দিনে আল্লাহ আরশের নিচে ছায়া দিবেন।
মসজিদ আবাদের চার নাম্বার পদ্ধতি হলো মসজিদকে ঝাড়ু দেওয়া। যারা মসজিদ ঝাড়ু দেয়, তাদের হৃদয়ের যন্ত্রণা দূর করে দেন কে? আল্লাহ। ইব্রাহীমকে (আলাইহিস সালাম) আল্লাহ বায়তুল্লাহ ঝাড়ু দিতে বললেন। আল্লাহ কুরআনে বলেন: “আমার ঘরকে পাক সাফ রাখবে তাওয়াফকারী, রুকু-সিজদা ও দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়কারীদের জন্য।”[সূরা আল-হাজ্জ্ব: ২২:২৬]
এবার আসি মসজিদের আদবের ক্ষেত্রে। মসজিদের কিছু আদব আছে। মসজিদে যাবার আগে ওজু করে যাবেন। আল্লাহর হাবীব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “তোমাদের কেউ যদি ভালো করে ওযু করে কেবল নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যেই মসজিদে আসে, সে মসজিদে প্রবেশ করা পর্যন্ত যতোটা কদম রাখে, প্রতিটি কদমের বিনিময়ে আল্লাহ তার মর্যাদাকে বাড়িয়ে দেন এবং তার এক একটি গুনাহ মাফ করেন।”[সহীহ বুখারী: ৪৭৭]
দুই নাম্বার আদব হচ্ছে, মসজিদে যাবার আগে সবচেয়ে ভালো জামাটি পড়ে যাবো।
অনেকের নামাজ পড়ার জন্য একটা ছেঁড়া জামা আছে, হাত উঠালে সবকিছু দেখা যায়! আর বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে সবচেয়ে সুন্দর জামাটি পড়ে যায়। এটা করা যাবে না। ইবাদাতের জন্য আপনি সবচেয়ে সুন্দর জামাটি পড়ে যাবেন। এজন্য আল্লাহ বলেন, “হে বনী আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিচ্ছদ গ্রহণ করো।”[সূরা আল-আ’রাফ: ৭:৩১]
তাহলে এখন মসজিদে যাবার সময় কী গায়ে দিয়ে যাবেন? সবচেয়ে সুন্দর জামাটি।
তিন নাম্বার আদবটি হচ্ছে, মসজিদে ঢুকার সময় ডান পা দিয়ে ঢুকতে হয়। আর বের হবার সময় বাম পা দিয়ে বের হতে হবে। ঢুকার সময় দু’আ পড়তে হবে, আল্লাহুম্মাফ তাহলী আবওয়াবা রহমাতিক। অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনি রহমতের দরজা খুলে দিন [সহীহ মুসলিম: ১৫৩৭]। তারমানে মসজিদে ঢুকলে রহমত পাওয়া যায়। তার প্রমাণ হলো, মসজিদে ঢুকলে ঘুম আসে!
আবার মসজিদ থেকে যখন বের হবেন, তখন বাম পা দিয়ে বের হবেন, আর দু’আ পড়বেন, আল্লাহুম্মা ইন্নী আস’সালুকা মিন ফাযলিক [প্রাগুক্ত]। অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছ থেকে ফযল চাই। ফযল মানে হলো রিজিক। তারমানে সোজাসাপটা কথা হলো, মসজিদের ভেতরে পাওয়া যায় রহমত, আর বাইরে পাওয়া যায় রিজিক। সারাদিন মসজিদে থাকলে রিজিক মিলবে? মসজিদে থাকার সময় মসজিদে থাকতে হবে, কাজের সময় কাজ করতে হবে। এটাই হলো ইসলামের বিধান। নামাজের সময় নামাজ, কাজের সময় কাজ।
এজন্য আল্লাহ বলেন, “নামাজ শেষ হয়ে গেলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহের সন্ধান করবে।”[সূরা জুমু’আহ: ৬২:১০] তারমানে, নামাজ শেষ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা চলে যাবে স্কুলে, চেয়ারম্যান চলে যাবে ইউনিয়ন অফিসে, সিএনজিওয়ালা চলে যাবে সিএনজি নিয়ে রিজিক অন্বেষণে।
চার নাম্বার আদব হলো, মসজিদে ঢুকেই দুই রাকআত নামাজ পড়ে নেবো। বিশ্বনবী বলেনঃ “তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার আগে দুই রাকআত নামাজ আদায় করে নেয়।”[সহীহ বুখারী: ৪৪৪]
তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়েন আপনারা? এখন থেকে পড়বেন।
পাঁচ নাম্বার আদব, কবরের উপর মসজিদ বানানো যাবে না। বাংলাদেশের কবরস্থানের সাথে মসজিদ বানানো আছে না? ছোট্ট একটা মসজিদ, আর বিশাল বড় বাবার কবর। এগুলো করবেন না আপনারা। আগে হবে মসজিদ, পরে হবে কবরস্থান। যেমন মসজিদে নববী হয়েছে আগে, পরে হয়েছে বিশ্বনবীর কবর। কিন্তু, আল্লাহর কোনো ওলীর কবরের উপর যদি মসজিদ বানান তাহলে লা’নত দিয়েছেন কে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
বিশ্বনবী বলেন, “ইহুদি এবং নাসারাদের ওপর আল্লাহর লা’নত! তারা তাদের নবীগণের কবরগুলোকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে।”তারা যা করেছে তা হতে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসলিমদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন [সহীহ বুখারী: ৩৪৫৩]।
ছয় নাম্বার আদব হলো, মসজিদকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন, সুগন্ধি লাগিয়ে দিবেন। মসজিদে পারফিউম লাগাবেন। আম্মাজান আয়িশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন, বিশ্বনবী মসজিদ পরিচ্ছন্ন এবং সুগন্ধিময় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।” [সুনানে আবু দাউদ: ৪৫৫] এজন্য কোনো মসজিদ অপরিচ্ছন্ন থাকতে পারবে না। মসজিদের পাশ দিয়ে লোকজন গেলে আতরের ঘ্রাণে আমোদ হয়ে লোকজন যেনো বুঝতে পারে এটা আল্লাহর ঘর মসজিদ।
মসজিদের আরেকটা আদব হলো, মসজিদকে অতিমাত্রায় ডিজাইন না করা। এতো ডিজাইন করা যাবে না যাতে বুঝাই যায় না এটা মসজিদ নাকি কমিউনিটি সেন্টার। বিশেষ করে মসজিদের সামনের দেয়ালে।
এটা এমনভাবে ডিজাইন করবে না, যাতে চোখ মসজিদের দেয়ালে চলে যায়। যদি পারা যায়, মসজিদের সামনের দেয়ালে কোনো ঘড়ি রাখবেন না। ঘড়ি থাকবে পেছনের দেয়ালে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, “তোমরা অচিরেই মসজিদ সমূহকে এমনভাবে সুসজ্জিত ও কারুকার্যময় করবে, যেরূপ ইহুদি ও খ্রিস্টানরা তাদের উপাসনালয় সুসজ্জিত করে।” [সুনানে আবু দাউদ: ৪৪৮]
পৃথিবীতে তিনটি মসজিদ সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মসজিদ। মাসজিদে হারাম (মক্কা), মাসজিদে আকসা (জেরুজালেম), মাসজিদে নববী (মদীনা)। আমরা মাসজিদে হারাম বা কিবলামুখী হয়ে নামাজ পড়ি। কিবলামুখী হয়ে নামাজ পড়া ফরজ। কিবলামুখী হয়ে নামাজ না পড়লে নামাজ হবে না। বিশেষ সওয়াবের নিয়তে এই তিনটি মসজিদ ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো মসজিদে ভ্রমণ করতে পারবেন না [সহীহ বুখারী: ১৯৯৫]।
যদি আপনি নিয়্যাত করে যান, বায়তুল মোকাররমের মসজিদে নামাজ পড়লে মনে হয় বেশি সওয়াব হবে, এজন্য বায়তুল মোকাররমের মসজিদে যাওয়া যাবে না। বায়তুল মোকাররম মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারেন, কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদে গেলে বেশি সওয়াব হবে, এমনটা নিয়্যাত করে যেতে পারবেন না।
[মিজানুর রহমান আজহারী (হাফিজাহুল্লাহ) ওয়াজটি করেন ০১ জানুয়ারি ২০২০ এ মৌলভীবাজারের সরকার বাজারে।] লেখাটির শ্রুতিলিখন এবং রেফারেন্স সংযুক্ত করেছেন আরিফুল ইসলাম।