আমাদের সমাজে আমরা প্রায় দেখি কিছু ব্যক্তি তার বউয়ের রুপ অশ্লীলভাবে প্রদর্শন করেন। বউয়ের পর্দা দূরে থাক কাপড়ের খুব কম ব্যবহার থাকে দেহে। ফেসবুকে ছবি তুলে প্রদর্শন করে। বন্ধুরা তার বউকে সুন্দরী বলবে, কথা বলতে চাইবে, ফেসবুকে ছবি দেখলে কবিতার ফুল ঝুড়ি ছড়াবে এমনটাই আশা করেন। বউকে সামাজিক বানাতে গিয়ে অন্যকিছু বানিয়ে ফেলেন। “বোন সে আপনাকে ভালোইবাসে না”।
ভালোবাসার প্রথম প্রমান ই তো হলো আপনার মধ্যে গাইরাত বা প্রটেক্টিভ জেলাসি ব্যপারটা থাকবে। আপনার বউ এর পাশে কাউকে এসে দাড়াতেই দিবেন না। তাকে শো করা তো বহু দূরের ব্যপার। “ভাই, বউটা কিন্তু আপনার”।
নিজের স্ত্রী মা বোন কিংবা মেয়ে সম্পর্কে যার কোন গাইরাত বা protective jealousy নেই। যে নিজের স্ত্রীকে কিংবা তার পরিবারের মেয়েদের পর পুরুষকে দেখিয়ে আনন্দ পায় কিংবা পর পুরুষের সামনে যেতে কোন ধরণের বাধা দেয় না সেই ব্যক্তি দাইয়্যুস।
আর দাইয়্যুস ব্যক্তি জান্নাতে তো যাবে না; জান্নাতের সুঘ্রাণ ও পাবে না। তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি আল্লাহ তায়ালা তাদের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। তার মধ্যে এক শ্রেনী হচ্ছে দাইয়্যুস ব্যক্তি; যাদের দিকে আল্লাহ তাকিয়েও দেখবেন না।(নাসাঈ- ২৫৬২)
কিছু মেয়ে আছে আজ আধুনিকতার নামে নিজেকে ফেসবুকে প্রদর্শন করে। কিছু নন মাহরাম ছেলেরা সেখানে তাদের উৎসাহ দিয়ে যায়। বন্ধুত্বের নামে চলে বেহায়াপনা। তারা ফ্রি মাইন্ডেড দাইয়্যুস হাজবেন্ড খোজে। ‘জানিস, আমার হাজবেন্ড খুব ভালো। আমার ছেলে বন্ধুদের জেলাস করে না। গলায় ওড়না নিতে বলে। বিয়ের আগে খুব চিন্তায় ছিলাম। শুনেছি ছেলেটা নামাযী কালামি। কিন্তু এখন দেখি খুব ফ্রি মাইন্ডেড। আমি খুব ভাগ্যবতী’। “বোন আপনার ভাগ্য খুবি খারাপ”।
প্রতিটি স্ত্রী তার স্বামীর কাছে স্পেশালভাবে প্রাপ্য। একজন দায়িত্বশীল স্বামী কখনো তার স্ত্রীকে বেগানা পুরুষের সামনে যেতে, কথা বলতে বাধ্য করবে না। কিংবা তার স্ত্রী, মা, বোন এর সাথে অন্য কারো এমন আচরণ সহ্য করবে না যেটা তার আত্মসম্মানবোধে লাগে।
ভাই আপনি হয়তো ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো মানেন। কিন্তু আপনার মেয়ে বা বোন স্কুলে,কলেজে,ভার্সিটির ফাংশানে নাচে। আপনি বাপ/ভাই হয়ে সহ্য করেন কিভাবে? আপনার বউ পর পুরুষের সামনে যায় পর্দা ছাড়া। আপনি দাত কেলিয়ে হাসেন কিভাবে?
◾আপনার মা – বউ বাজারে যায়? তখন আপনি ঘরে কি করেন? ভাই আপনি নামাযি কালামি? গাইরাত নাই অন্তরে? ইবনুল কায়্যিম রহিমাহুল্লাহ বলেন- “যদি গাইরাত মানুষের হৃদয় ত্যাগ করে চলে যায়, তবে সে হৃদয় থেকে ঈমানও হারিয়ে যাবে”।
বিশ্বাস করুন আপনার সালাত, সিয়াম, বাকী সব আমল কোন কাজে আসবে না। কারণ আপনি নিজে একজন ‘দাইয়্যুস’ ব্যক্তিতে পরিনত হয়েছেন। আর দাইয়্যুস ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন! (নাসাঈ- ২৫৬২, মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত-৩৬৫৫) একজন পুরুষ হবে ব্যক্তিত্ববান। তার স্ত্রী,মা, কন্যা, বোনদেরকে সে হিফাজাত করবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝার তৌফিক দান করো।